নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রায় ২০ কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। দুই দিনব্যাপী অষ্টমী স্নানোৎসবের কারণে হাজারো হিন্দু ধর্মাবলম্বী লাঙ্গলবন্দে সমাবেত হয়েছেন। এ কারণে শনিবার (৯ এপ্রিল) সকাল থেকে মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। দিনভর যানজটের কারণে বিভিন্ন পরিবহনের চালক ও যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন। বাধ্য হয়ে অনেকে হেঁটে গন্তব্যে রওনা করেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপজেলা সোনারগাঁয়ের কাচঁপুর থেকে মেঘনা টোলপ্লাজা পযর্ন্ত তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে মহাসড়ক থেকে শাখা রোর্ড তীব্র যানজট লেগে গেছে। গতকাল রাত থেকে শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী অষ্টমী স্নানোৎসবের কারণে হাজারো হিন্দু ধর্মাবলম্বী লাঙ্গলবন্দে সমাবেত হয়েছেন। ফলে সকাল থেকেই ঢকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর থেকে মেঘনা টেলিপ্লাজা পযর্ন্ত ২০ কিলোমিটার তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দীর্ঘ সময় এ মহাসড়কে যানজট থাকায় দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। অনেক যাত্রী হেঁটে, বিকল্প পথে রিকশা ও অটোরিকশায় গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হন।
নাফ গাড়ী হেলপার আ. রউফ বলেন, তীব্র যানজটের কারণে গাড়ি সময়মতো গন্তব্যস্থলে পৌঁছাচ্ছে না। যার ফলে তারা ভাড়া বেশি নিতে বাধ্য হচ্ছি। সকাল থেকে গাড়ির জন্য দীর্ঘ সময় ধরে সড়কে দাঁড়িয়ে ছিলাম, শত শত গাড়ি দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। ১ ঘণ্টা চেষ্টার পর ১ কিলোমিটার যেতে পেরেছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ করিম খান জানান, হিন্দু ধর্মাবলম্বী দুই দিনব্যাপী অষ্টমী স্নানোৎসবের কারণে সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজট নিরসনে তাদের পুলিশের একাধিক টিম মহাসড়কে কাজ করে যাচ্ছে। দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থেকে যানবাহনের যাত্রী ও চালকদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অনেকে দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থাকার পর হেঁটে গন্তব্যে রওনা করেন। তবে এদিন দুপুরের পর থেকে যানজট কিছুটা কমতে থাকে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল