অনলাইনে ক্যাসিনো ব্যবসার অভিযোগে গ্রেফতার সেলিম প্রধানের সঙ্গে দেখা করেছেন তার রাশিয়ান স্ত্রী আনা। বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে সেলিমের অবৈধ সম্পদের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। এরপর আদালতের অনুমতি নিয়ে এজলাস কক্ষে রাশিয়ান স্ত্রীর সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন সেলিম প্রধান।
সেলিম প্রধানের রুশ স্ত্রী আনা প্রধান গণমাধ্যমে বলেন, তিন দিন আগে তিনি ঢাকায় এসেছেন। এখন বাংলাদেশেই থাকবেন। তাদের সন্তান আছে। তিনি দাবি করেন, তার স্বামীর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা সত্য নয়। তিনি বলেন, আমি আমার স্বামীর মুক্তি চাই। আইনের মধ্যে থেকে ন্যায়বিচার চাই।
সেলিম প্রধানকে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করে র্যাব-১। এরপর তার গুলশান, বনানীর বাসা ও অফিসে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নগদ ২৯ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়। একইসঙ্গে হরিণের চামড়া পাওয়া যাওয়ায় ওই দিনই সেলিম প্রধানকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠান।
একই বছরের ২৭ অক্টোবর দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে সেলিম প্রধানকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। দুদক মামলাটি তদন্ত করে তার নামে মোট ৫৭ কোটি টাকার অধিক অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, দুর্নীতি ও ক্যাসিনোর মাধ্যমে সেলিম প্রধান মোট ৫৭ কোটি ৪১ লাখ ৪৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এর মধ্যে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ৩৫ কোটি ৪১ লাখ ৯৭ হাজার টাকার। অর্জিত ২১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেছেন।
২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর অবৈধভাবে ৫৭ কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের মামলায় আদালত সেলিম প্রধানের উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এরপর গত ২ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। সেদিন সাক্ষ্য দেন মামলাটির বাদী দুদক উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।
সর্বশেষ বুধবার এ মামলায় রেজাউল করিম নামে একজন ব্যাংকার আদালতে সাক্ষ্য দেন। মোট ৩৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল