পরপর দুইদিন তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও বুধবার পানি ছিল বিপৎসীমার নিচে। তিস্তার পানি কমলে বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার দুইটি ইউনিয়নে এখনো হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। অনেকস্থানে ক্ষেতের ফসল তলিয়ে গেছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল ৬টায় তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ ছিল ৫২ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার। একই পয়েন্টে বিকাল ৩টায় পানি আরও কমে ৫২ দশমিক ৩৭ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছিল। সোমবার রাতে ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বন্যার পানি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেয় পাউবো।
আজ মঙ্গলবার সকালে তিস্তা নদীর পানি কিছুটা কমে ৫২ দশমিক ৭৭ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হয়। পরপর দুইদিন পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হওয়ায় তিস্তাপাড়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে আমনধানসহ অন্যান্য ফসল পাণিতে তলিয়ে যায়। এছাড়া পানি বন্দি পরিবারগুলোর দুর্ভোগ চরমে উঠে।
লহ্মীটারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, তিস্তার পানি কিছুটা কমলেও মানুষের দুর্ভোগ এখনো কমেনি। তার ইউনিয়নে এখনো ৭০০ পরিবার পানি বন্দি অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া কোলকোন্দ ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি এলাকার মানুষ পানি বন্দি অবস্থায় রয়েছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, বর্তমানে তিস্তার পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর