৬ অক্টোবর, ২০২২ ২১:১৩

অনেক সময় আইন গরিবের পক্ষে থাকে না : বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

অনেক সময় আইন গরিবের পক্ষে থাকে না : বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন

সংগৃহীত ছবি

সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম বলেছেন, ধনীদের অর্থ আছে। তারা ভালো আইনজীবী রাখতে পারেন। ভালো অর্থ আইনজীবীর পেছনে খরচ করতে পারেন। আর গরিবের অর্থ নেই। ফলে আইন তাদের পক্ষে অনেক সময় থাকে না। কারণ তারা ভালো আইনজীবী রাখতে পারেন না। এ কারণেই অসহায়, দুস্থ ও গরিব বিচারপ্রার্থীদের আইনি সেবা দেয়ার জন্য ২০০০ সালে সরকার লিগ্যাল এইড প্রতিষ্ঠা করে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল জেলা-৩১৫ এই সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তেজগাঁও কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল অধ্যাপক আঞ্জুমান আরা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাইকোর্ট বিভাগের আরেক বিচারপতি মো. বশির উল্লাহ। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি লায়ন ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুল ওয়াহহাব, লায়ন জালাল আহমেদ, লায়ন মোহাম্মদ হানিফ, লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা জজ ফারাহ মামুন ও অ্যাডভোকেট মুনমুন নাহার প্রমুখ।

বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন আরও বলেন, লিগ্যাল এইড আইন প্রণয়নের পর ২২ বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু দেশের মানুষের মধ্যে লিগ্যাল এইড নিয়ে ধারণা কম। গ্রামের মানুষ এখনও জানে না লিগ্যাল এইড কিভাবে কাজ করে। অনেকে মনে করে লিগ্যাল এইডের কাছে আসলেই মনে হয় রায় পাওয়া যায়। অনেকে মনে করে লিগ্যাল এইড একটি মাধ্যম, টাকা-পয়সা খরচ করতে হয়। কিন্তু লিগ্যাল এইডের দায়িত্ব রাষ্ট্র নিজেই নিয়েছে। এখানে কোনো বিচারপ্রার্থীর একটি পয়সাও খরচ করার সুযোগ নেই। এজন্য লিগ্যাল এইডের ধারণা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। গণমাধ্যম প্রতিনিয়তই সেই ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

আইন সবার জন্য সমান কি না, প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদে বলা আছে আইনের চোখে সবাই সমান। সবাই আইনের আশ্রয় লাভের অধিকারী। কিন্তু আমার মনে পীড়া দেয় আদৌ কি আমরা ইক্যুয়াল প্রটেকশন পাচ্ছি, এটা আপনারা ভেবে দেখবেন। অসহায়, দুস্থ বিচারপ্রার্থীদের কি ঠিকমত লিগ্যাল সাপোর্ট দিতে পারছি? আমার মত হচ্ছে- পারছি না। এজন্য সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করার পরামর্শ দেন এই বিচারপতি।

নিজ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েই আমি কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শন করেছি। সেখানে গিয়ে বন্দিদের বক্তব্য শুনেছি। যাদের লিগ্যাল এইড দেয়া দরকার তাদের নিয়ে কাজ করছি।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর