আজ বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। সমাবেশ শুরু হতে এখনও কয়েক ঘণ্টা বাকি থাকলেও বরিশাল নগরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল নিয়ে জেলা-উপজেলার নেতকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বরিশাল নগরের বিভিন্ন অলি-গলি থেকে বিপুল সংখ্যক কর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন ইউনিটের বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতারা মিছিল সহকারে সমাবেশস্থলে আসছেন।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, মানুষ যে যার মতো করে কয়েকদিন আগে থেকেই সমাবেশে যোগ দিতে বরিশালে এসেছে। যারা বাকি ছিল তারাও কোনো না কোনোভাবে গত রাতে বরিশালে এসে পৌঁছেছে। এখন সবাই মহাসমাবেশমুখী হচ্ছে। কোনোভাবে মানুষকে আটকে রাখা যায়নি।
টানা তিন দিন ধরে বন্ধ আছে ভোলা-বরিশাল রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল। বাস চলাচল বন্ধ দুইদিন ধরে। হঠাৎ করে দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ এ রুটে ধর্মঘটের ডাকে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। ঘাটে এসে কোনো নৌ-যান না পেয়ে যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে চরম বিড়ম্বনায়। অনেকেরই গন্তব্যে যেতে নদীর পাড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত ফিরে যেতে হচ্ছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
বাস ধর্মঘটের বিষয়ে বাস মালিক সমিতি সড়কে অবৈধ থ্রি হুইলার বন্ধের কথা জানালেও লঞ্চ ধর্মঘটের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি নৌ-যান কর্তৃপক্ষ।
বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, সড়কে অবৈধ থ্রি হুইলার চলাচল করছে। এসব থ্রি হুইলার বন্ধের দাবিতে দুই দিনের জন্য বাস ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
নৌ পথে হঠাৎ করেই লঞ্চ চলাচলের বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিএ সহকারি পরিচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, বিআইডব্লিউটিএ কোনো লঞ্চ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি। এটা সম্পূর্ণ লঞ্চ মালিক সমিতির ব্যাপার।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন
