বিএনপির ১০ ডিসেম্বর সমাবেশের নামে সন্ত্রাস-নৈরাজ্য করলে হেফাজতের পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা। তারা বলছেন, সরকার গণতান্ত্রিক পরিবেশ চায় বলেই বিএনপিকে সভা-সমাবেশ করতে দিচ্ছে। এটাকে কোনভাবেই দুর্বলতা ভাবা যাবে না। ১০ ডিসেম্বর সমাবেশের নামে কোন প্রকার অরাজকতা করলে ছাড় দেওয়া হবে না। ২০১৩ সালে হেফাজতের যে পরিস্থিতি হয়েছিল সেই পরিস্থিতি করবো। বিএনপিকে মোকাবিলা করার জন্য ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগই যথেষ্ট। আজ সাভারে উপজেলা আওয়ামী লীগের যৌথসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা দৌলার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মন্জুরুল আহসান রাজিবের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ এমপি, সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুন, সাবেক মহিলা সম্পাদক হালিমা আক্তার লাবণ্য ,সদস্য সিরাজুল ইসলাম,ফখরুল ইসলাম সমরসহ অনেকেই।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ বলেন, বিজয়ের মাসে আবারও ১৯৭১ এর পরাজিত শক্তি সভা সমাবেশের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। বিজয়ের মাসে ঢাকায় কোন ধরনের নৈরাজ্য-সন্ত্রাস বরদাসত করা হবে। এ জন্য ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ রাজপথে সক্রিয় থাকবে। যেখানেই নৈরাজ্য সেখানেই প্রতিরোধ।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুন বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সেই সময় বিএনপি দেশের স্থিতিশীল পরিবেশ নষ্ট করতে চায়। তারা সন্ত্রাসের ভাষায় কথা বলছে। ১০ ডিসেম্বর সমাবেশের নামে নৈরাজ্য করলে কোন ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, হুঁশিয়ার করে দিতে চাই, এর আগেও ঢাকায় হেফাজত সন্ত্রাস-নৈরাজ্য করেছিল। শান্তিপূর্ন সমাবেশ করুন, সব ধরনের সহযোগীতা করবো। কিন্তু নৈরাজ্য-সন্ত্রাস করবেন, মনে রাখবেন, হেফাজতের যে পরিস্থিতি হয়েছিল, আপনাদেরও তাই হবে। বিএনপির সন্ত্রাস মোকাবিলার জন্য ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগই যথেষ্ট। তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে এই জেলার নেতা কর্মীরা সব সময় ছিল এবং থাকবে।
আগামী ১০ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বড় ধরনের সমাবেশ করা হবে। সেই সভা সফল করতে আজ যৌথসভা ডাকা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এএ
