সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার প্রসঙ্গে বলেছেন, ইভিএম একটা জালিয়াতির যন্ত্র, দুর্বল যন্ত্র, এ যন্ত্রের মাধ্যমে এসি রুমে থাকা স্যুট কোট পরিহিতরা নিজেদের মতো করে ফল তৈরী করতে পারে, নির্বাচন কমিশন যা খুশি তা করতে পারে, কারণ এটির মাধ্যমে ফল পুণরায় গণনা করা সম্ভব নয়, পেপার লেস এই যন্ত্রটি একটি বাণিজ্যিক যন্ত্র ছাড়া কিছু না। এছাড়াও ইভিএমে ভোটাররা ভোট দিতে চায় না, ইতিপূর্বে ইভিএম ব্যবহারের পরিসংখ্যান তাই বলছে। ভোটাররা ইভিএমে অনাগ্রহী থাকা সত্বেও ইভিএমে ভোটের আয়োজন কেন তা বোধগম্য নয়। এই ইভিএম নিয়ে নির্বাচন করা একটি আত্মঘাতি ঘটনা।
শনিবার বিকেলে একটি সংগঠনের গুণি শিক্ষক সম্মাননা অনুষ্ঠানে যোগদানের উদ্দেশ্যে এসে রংপুর নগরীর আরডিআরএস চত্বরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
নির্বাচন কমিশন নিয়ে তিনি বলেন, ইসি আস্থা তৈরি করতে পারেনি, গাইবান্ধার নির্বাচন স্থগিত করে ও তদন্তের ব্যবস্থা করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু তদন্তে রাঘব বোয়ালদের বাদ দিয়ে চুনোপুটিদের চিহ্নিত করে দোষি করে শাস্তির সুপারিশ করেছে। এতে মানুষের আস্থা নষ্ট হয়েছে।
তিনি আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপি’র সমাবেশকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, রাজনীতি নিয়ে যা ঘটছে তা অনাকাঙ্খিত, কেননা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট হচ্ছে রাজনৈতিক দলের মিছিল মিটিং সভা করার অধিকার থাকা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকা। কিন্তু বর্তমানে খেলার স্লোগান চলছে, তবে এই খেলার মধ্য দিয়ে রাজনীতিকে খেলাতে পরিণত করা হয়েছে। এটি নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্রের পূর্বাভাস। পুলিশ অনুমতি দিতে পারত, কিন্তু অনুমতি দেয়নি। কেননা পুলিশ নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান নয়।
তিনি আরো বলেন, এই সরকারের আমলে দুটি জাতীয় নির্বাচন হয়েছে, একটি একদলীয় ও অন্যটি জালিয়াতি নির্বাচন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সুজন রংপুর মহানগর সভাপতি ফখরুল আনাম বেঞ্জু, সুজন রংপুর সমন্বয়কারী রাজেশ দে রাজু প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল