যাত্রী সেজে উঠতো গাড়িতে। সুযোগ বুঝেই চালককে জিম্মি করে নিয়ে যেতো অটোরিকশা। তারপর আরেকটি গ্রুপ সেই গাড়ি নিয়ে যেতো কুমিল্লার আরেকটি উপজেলায়। সেখানে থাকা আরেকটি গ্রুপ রঙ বদলে বিক্রি করতো চোরাই গাড়ি। কুমিল্লায় এমনই গাড়ি চোর চক্রের ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি র্যাবের।
এসময় একটি কাভার্ড ভ্যান, দুইটি মোটরসাইকেল ও ২৬টি ব্যাটারিচালিত গাড়িসহ অসংখ্য যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় র্যাব ১১ কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন। এই চোর চক্রের সদস্যদের অনেকে এখন কোটিপতি।
তিনি জানান, শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার পালপাড়া এলাকার খলিলের গ্যারেজে একটি চোরাই গাড়ি আছে বলে আমরা তথ্য পাই। পুরো সিন্ডিকেটকে গ্রেফতারের জন্য গ্যারেজটিকে পর্যবেক্ষণের আওতায় নিয়ে আসে র্যাব। রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে সিন্ডিকেটের সদস্যরা কাটার মেশিন দিয়ে একটি কাভার্ড ভ্যান কেটে যন্ত্রপাতি আলাদা করার সময় চক্রের মূলহোতা খলিলসহ আটজনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় গ্রেফতারকৃতরা হলেন কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার আড়াইওড়া গ্রামের মৃত মনোহর আলীর ছেলে কাউসার আলী খলিল (৪৫), একই গ্রামের ওহাব কাজীর ছেলে মোঃ কাইয়ুম (৪২), মো. মুক্তার হোসেন মুসার ছেলে মো. সাজিদ হোসেন (২০), বাটপাড়া গ্রামের নান্নু মিয়ার ছেলে নাজমুল হোসাইন রবিউল (১৯), হাড়ং গ্রামের মোঃ আলম মিয়ার ছেলে মো. আবু কাউসার (৩৫), বদরপুর গ্রামের মো. হোসেনের ছেলে মো. পিয়াস (৩৩), আড়াইওড়া গ্রামের মৃত দিদার বক্সের ছেলে মো. জহির মিয়া (৪০) এবং মধ্যম মাঝিগাছা গ্রামের মো. হান্নান মিয়ার ছেলে মো. জামশেদ হোসেন (২১)।
তাদের স্বীকারোক্তিতে গাড়ি চুরির সাথে সম্পৃক্ত আরেকটি সিন্ডিকেটের বেশ কয়েকজন সদস্যের তথ্য পাই আমরা। ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে কুমিল্লার চম্পকনগর, বুড়িচং থানাধীন ভারেল্লা (দক্ষিণ) ও পশ্চিম সিংহ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এ চক্রের মূলহোতা জাহাঙ্গীরসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে গ্রেফতারকৃতরা হলেন কুমিল্লার দেবিদ্বার থানার নবীয়াবাদ গ্রামের মৃত সামসুল আলমের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম জাহাঙ্গীর (৪৫), শিমরা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে হৃদয় হাসান (১৯), বুড়িচং উপজেলার কংশনগর গ্রামের ধনু মিয়ার ছেলে শুক্কুর আলী (২৩), বুড়িচং উপজেলার পারুয়ারা গ্রামের শাহ আলমের ছেলে রিপন মিয়া ওরফে আব্দুল আলীম (২৭), চান্দিনা উপজেলার শ্রীমন্তপুর গ্রামের মো. মোহর আলীর ছেলে বর্তমানে চম্পকনগরের বাসিন্দা মো. সাইফুল (৩২), ব্রাহ্মণপাড়ার সাহেবাবাদ গ্রামের মইনুল হোসেনের ছেলে মো. আল আমিন (২৪), সদরের শাসনগাছা গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে মনির মিয়া (৩৯), আড়াইওড়া গ্রামের কাজী মঞ্জিলের ছেলে মজিদ (৩০), বুড়িচং থানার পারুয়ারা গ্রামের ধনু মিয়ার ছেলে মো. তাজুল ইসলাম (৩২) এবং বুড়িচং থানার পশ্চিম সিংহ গ্রামের শাহজাহানর ছেলে মো. ওমর ফারুক (২৮)।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল