৭ মার্চ, ২০২৩ ১৪:০২

জামিন পেলেন যুব গেমসের বাকি ৮ খেলোয়াড় ও কোচ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

জামিন পেলেন যুব গেমসের বাকি ৮ খেলোয়াড় ও কোচ

প্রতীকী ছবি

শেখ কামাল বাংলাদেশ যুব গেমস থেকে ফেরার পথে রাজশাহী রেল স্টেশনে পুলিশ কনস্টেবল দম্পতিকে মারপিটের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় বাকি সাত খেলোয়াড় ও কোচকে জামিন দিয়েছেন আদালত। 

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাইনুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত রবিবার (৫ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন থেকে প্লাটফর্মে নামার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুব খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে মারপিটের অভিযোগ আনেন এক পুলিশ কনেস্টবল ও তার স্ত্রী। তাদের দাবি, ঢাকা থেকে যুব গেমস খেলে ফেরার পথে রাজশাহীর কুস্তি দল ট্রেনের ভিতরে তাদের মারপিট করেছে।

এ ঘটনায় ওই পুলিশ সদস্যের নাক ফেটে গেছে বলে দাবি করা হয়েছে। মারপিটের অভিযোগ এনে পুলিশ সদস্যের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা জয়া রাজশাহী রেলওয়ে থানায় ১৩ জন খেলোয়াড় ও কোচকে আসামি করে মামলা করেন। পরে মীমাংসার কথা বলে নিয়ে যাওয়া ১২ খেলোয়াড় ও কোচকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখায় রেলওয়ে থানা পুলিশ। ওই মামলায় প্রথম দিন পাঁচজন এবং মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনে ৮ জন জামিন পেলেন বলে জানান আসামিপক্ষের এই আইনজীবী।

জামিন প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- রাজশাহী মহানগরীর পাচানি মাঠ এলাকার আলী আজম (১৯), হাজরাপুকুর ডাবতলা এলাকার আকাশ আলী মোহন (২০), একই এলাকার আব্দুল আল জাহিদ (১৬), জিন্নানগর এলাকায় আহসান কবীর (৪৫), নিউ কলোনি এলাকার ফারহানা খন্দকার (১৭), কয়েরদাড়া এলাকার রিমি খানম (১৭), জেলার মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট এলাকার খাদিজা খাতুন (১৮), রাজশাহী মহানগরীর বখতিয়ারবাদ মালদা কলোনি এলাকার পাপিয়া সারোয়ার পূর্ণিমা (১৯), ছোটবনগ্রাম উত্তরপাড়ার দিপালী (১৯), বড় বনগ্রাম রায়পাড়া এলাকার সাবরিনা আক্তার (১৯), একই এলাকার জেমি আক্তার (১৪), মহানগরীর শাহ মখদুম থানার মোড় এলাকার বৃষ্টি মণি (১৬) এবং হাজরাপুকুর ডাবতলা এলাকার রমজান (১৯)। এর মধ্যে রমজান ছাড়া বাকিরা গ্রেফতার হয়েছেন। রমজান আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

এর মধ্যে আব্দুল আল জাহিদ (১৬), ফারহানা খন্দকার (১৭), রিমি খানম (১৭), জেমি আক্তার (১৪) ও বৃষ্টি মণি (১৬) সোমবার জামিন পেয়েছে।

আসামিপক্ষের পরিবারগুলোর দাবি ওই পুলিশ সদস্যই আগে এক খেলোয়াড়কে চড় মেরেছিলেন। তারপরই ঘটনার সূত্রপাত। এরপর বিষয়টি রেলওয়ে থানায় নিয়ে মীমাংসা করার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশ সদস্যের স্ত্রী খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে মামালা দায়ের করেন। আর রেলওয়ে পুলিশও সাথেসাথে এই মামালায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়। আজকে এই ঘটনা প্রতিবাদে আজ বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। 

রাজশাহী জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এই বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে অবিলম্বে শেখ কামাল বাংলাদেশ যুব গেমসে অংশ নেওয়া রাজশাহীর উদীয়মান খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। না হলে কঠোর কর্মসূচির হুমকি দেওয়া হয়।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর