৫ জুন, ২০২৩ ১৬:৩৪

বরিশাল সিটি নির্বাচন : ভোটারদের মন জয়ে নানা প্রতিশ্রুতি প্রার্থীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল সিটি নির্বাচন : ভোটারদের মন জয়ে নানা প্রতিশ্রুতি প্রার্থীদের

প্রচারণায় ব্যস্ত আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল খায়ের খোকন সেরনিয়াবাত ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম

মেয়র নির্বাচিত হতে পারলে প্রথমেই বর্ধিত এলাকার উন্নয়নে কাজ শুরুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বরিশাল সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল খায়ের খোকন সেরনিয়াবাত। অপরদিকে সরকারি দল ভোট ছিনিয়ে নিতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস। প্রশাসনের ছত্রছায়ায় সরকারি দল বিভিন্নভাবে প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম। এদিকে বিএনপি থেকে আজীবন বহিষ্কারের ঘটনা নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন সাবেক মেয়রপুত্র স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান রূপন।

সোমবার দুপুর ১২টার দিকে নগরীর চাঁদমারী এলাকায় গণসংযোগ করেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল খায়ের খোকন সেরনিয়াবাত। গণসংযোগকালে নতুন বরিশাল বিনির্মাণে নৌকায় ভোট চান তিনি।

এ সময় খোকন সেরনিয়াবাত সাংবাদিকদের বলেন, বিগত দিনে নগরীর বর্ধিত এলাকায় কোনো উন্নয়ন হয়নি। নির্বাচিত হতে পারলে প্রথমেই নগরীর বর্ধিত এলাকার উন্নয়ন করবেন। জলাবদ্ধতা নিরসন এবং বেহাল রাস্তাঘাটগুলো সংস্কার করবেন। গুরুত্বপূর্ণ খালগুলো প্রথম পর্যায়ে সংস্কার করবেন।

তিনি আরও বলেন, শুরু থেকেই জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন। দায়িত্ব পেলে জনগণের প্রত্যাশিত সেবা প্রদানে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ তিনি।

এদিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস সকালে নগরীর মুন্সি গ্যারেজ থেকে নতুন বাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন। গণসংযোগকালে প্রকৌশলী তাপস গণমাধ্যমকে বলেন, আওয়ামী লীগ ২০১৮ সালের মতো ভোট কেটে নিয়ে যাবে বলে জনমনে আশঙ্কা রয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতাদের বডি ল্যাংগুয়েজেও সেরকম প্রকাশ পাচ্ছে। তাদের পক্ষ থেকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। ১২ জুন লাঙ্গলে ভোট দিয়ে বরিশাল রক্ষা করতে সর্বসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম সকালে নগরীর কেডিসি ও বরফকল বস্তি এবং চাঁদমারী এলাকায় গণসংযোগ করেন। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, পুলিশের ছত্রছায়ায় আওয়ামী লীগের কাউন্সিলররা হাতপাখার নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে। তাদের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট হতে যাচ্ছে। আগামী দিনগুলোতে আরও বাধার আশঙ্কা করেন তিনি।

ভোটারদের উদ্দেশে মুফতি ফয়জুল বলেন, আসুন আমরা মিলেমিশে একটা নিরাপদ নগরী গড়ি। যেখানে মালিক-শ্রমিক, নারী, শিশুসহ সবার নিরাপত্তা থাকবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটা নিরাপদ নগরী গড়তে ১২ জুন হাতপাখায় ভোট চান তিনি।

অপরদিকে নগর ভবনসহ চকবাজার এলাকায় আজ সকালে গণসংযোগ করেন বিএনপি’র প্রয়াত সাবেক মেয়র আহসান হাবিব কামালের ছেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রূপন।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি’র বহিষ্কারাদেশ তার নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না। কারণ সাধারণ মানুষ আওয়ামী লীগ এবং তাদের ১৪ দলীয় জোটকে প্রত্যাখ্যান করেছে। মানুষ ১২ জুনের অপেক্ষায় আছে। সুযোগ পেলে জনগণ দুঃশাসনের উচিত জবাব দেবে। নির্বাচিত হতে পারলে সিটি করপোরেশনের সেবা পেতে জনগণের ভোগান্তি হবে না। হোল্ডিং ট্যাক্সও সামঞ্জস্যপূর্ণ করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

এদিকে জাকের পার্টির প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চু সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর বাংলাবাজার থেকে নূরিয়া স্কুল এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় বরিশালের উন্নয়নে গোলাপ ফুল প্রতীকে ভোট চান তিনি। তবে অন্য দুই স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আলী হোসেন হাওলাদার এবং আসাদুজ্জামানের কোনো প্রচারণা চোখে পড়েনি।

উল্লেখ্য, ১২ জুন সিটি নির্বাচনে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। বরিশাল নগরীতে এবার ভোট কেন্দ্র ১২৬টি।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর