শিরোনাম
৬ জুন, ২০২৩ ১৯:৫৯

হুমকির বিচার চাইতে কর্মীসহ থানায় কাউন্সিলর প্রার্থী, পুলিশের সামনে চেপে ধরল কলার

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

হুমকির বিচার চাইতে কর্মীসহ থানায় কাউন্সিলর প্রার্থী, পুলিশের সামনে চেপে ধরল কলার

থানায় পুলিশের সামনে কাউন্সিলর প্রার্থীর কর্মীর কলার চেপে ধরল আরেক কাউন্সিলর প্রার্থীর কর্মী

বরিশালে এক কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রচারণা থেকে সরে গিয়ে আরেক প্রার্থীর পক্ষে কাজে বাধ্য করাতে এক নারীকে পুড়িয়ে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কাউন্সিলর প্রার্থীর কর্মীদের বিরুদ্ধে। ওই কাউন্সিলর প্রার্থীর পক্ষ ত্যাগ না করলে আরও এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।

এ ঘটনার বিচার চাইতে কর্মীদের নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে কোতয়ালী থানায় হাজির হয়েছিলেন নগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আনোয়ার হোসেন রয়েল। থানায় গিয়েও প্রার্থীর সামনে তার কর্মীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী জাকির হোসেন ভুলুর কর্মীদের বিরুদ্ধে।

প্রত্যক্ষদর্শী আবদুল হালিম জানান, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে নগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আমতলা জামাল ফার্মেসিতে গণসংযোগ করছিল কাউন্সিলর প্রার্থী আনোয়ার হোসেন রয়েলের কর্মী মোজাম্মেল হোসেন মিরনসহ অন্যরা। সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী জাকির হোসেন ভুলুর কর্মী মামুনসহ অন্যরা মিরনকে রয়েলের পক্ষ ত্যাগ করে ভুলুর ঠেলাগাড়ির পক্ষে কাজ করতে বলেন। পক্ষ ত্যাগ না করলে মিরনকে কোপানোসহ ভোট কেন্দ্রে কিভাবে যায়, তা দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় ঠেলাগাড়ির কর্মী মামুন। এ নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে থানা পুলিশ এবং র‌্যাবের পৃথক দুটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

পারভীন বেগম নামে রয়েলের আরেক কর্মী অভিযোগ করেন, গত বুধবার কাউন্সিলর প্রার্থী জাকির হোসেন ভুলুর কর্মী নিবীর ও জিদানসহ অন্যরা তার বাসায় গিয়ে রয়েলের পক্ষ ছেড়ে ভুলর পক্ষে কাজ করতে বলেন। রয়েলের পক্ষ ত্যাগ না করলে তারা তাকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এ ঘটনার বিচার চাইতে দুপুরে কর্মীদের নিয়ে কোতয়ালী থানায় হাজির হন কাউন্সিলর প্রার্থী আনোয়ার হোসেন রয়েল।

তিনি বলেন, থানায় বিচার চাইতে গেলে সেখানেও মাস্তান নিয়ে হাজির হন প্রতিদ্বন্দ্বী আনোয়ার হোসেন ভুলু। পুলিশের সামনে তার কর্মী মিরনকে হুমকি, এমনকি শার্টের কলার চেপে ধরে প্রতিদ্বন্দ্বী জাকির হোসেন ভুলুর লোকজন। এ সময় পুলিশ তাদের নিবৃত্ত করে। প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টির অভিযোগ করেন রয়েল। এ ঘটনায় তিনি কোতয়ালী থানা, পুলিশ কমিশনার এবং রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান। অভিযোগ দেওয়ায় বিকেলে তার এক কর্মীর মোটরসাইকেল ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী জাকির হোসেন ভুলু বলেন, থানায় কোনো হুমকি-ধামকি কিংবা হাতাহাতির ঘটনা ঘটেনি। মামুন নামে যার বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, সে রয়েলেরই কর্মী ছিল। সে রয়েলের পক্ষ ত্যাগ করে এখন তার (ভুলু) পক্ষে সবাইকে একত্রিত করছে। রয়েলের নারী কর্মীকে জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়, এটি প্রোপাগান্ডা বলে দাবি করেন তিনি। রয়েলের বিরুদ্ধে ভোটারদের অর্থ দেওয়ার পাল্টা অভিযোগ করেন ভুলু।

এ বিষয়ে কোতয়ালী থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এক কর্মীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী আনোয়ার হোসেন রয়েল থানায় এসেছিলেন। অপর পক্ষের লোকজনও এসেছিল। থানায় দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। তাদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন তিনি।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর