একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের রাতে আওয়ামী লীগের ‘ভোট ডাকাতি’র প্রতিবাদে কফিন মিছিল করার উদ্যোগ নিয়েছিল গণঅধিকার পরিষদ। মিছিলের শুরুতেই বাধা দিয়ে পুলিশ মারমুখী অবস্থান নেয়।
মিছিল বন্ধ না করায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের সঙ্গে মিডিয়ার সামনে প্রকাশ্যে দুর্ব্যবহার করে পুলিশ। কয়েক দফা ধাক্কা দিয়ে আটকের হুমকি দেয়। নেতাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে, লাথি দিয়ে কফিন ভেঙে ফেলে। ধস্তাধস্তিতে শীর্ষ নেতাদের অনেকে পড়ে গিয়ে আহত হন।
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর বিজয়নগর মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় নুরুল হক নুর বলেন, ‘আমরা দুই-আড়াইশ’ লোক শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করতে চেয়েছিলাম। সেখানে পুলিশ বাধা দেয়। লাথি দিয়ে আমাদের কাঠের কফিন ভেঙে ফেলে। এটি কি পুলিশ করতে পারে? কোন আইন অনুযায়ী তারা এসব করলো?
মিছিল শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নুর বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর মধ্যরাতে ৬০ শতাংশ ভোট কেটে জনগণের ভোটাধিকার হরণের মাধ্যমে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে আজ আমাদের এই কফিন মিছিল। গণতন্ত্র এখন কফিনে। আমরা গণতন্ত্রের পুনর্জাগরণ করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, মারামারি, হানাহানি, হত্যার রাজনীতির অবসান চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলতে চাই, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। ২১ আগস্টের মতো গ্রেনেড হামলার ভয় থাকলে কথা দিচ্ছি, আমরা আপনার পাশে থাকবো।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত