মেয়রের দায়িত্বে থাকার নয় মাস পরই কারাগার ঠিকানা হয়ে উঠেছিল সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর। কারাগারে যাওয়ার পর তার মেয়র পদের সামনে বসে যায় ‘সাময়িক বরখাস্তকৃত’ শব্দটি। প্রায় দুই বছরের কারাজীবন শেষে আরিফ এখন জামিনে মুক্ত। কারাগার থেকে মুক্তির পরই সিলেট বিএনপির প্রভাবশালী এই নেতার পাশে দাঁড়িয়েছেন করপোরেশনের কাউন্সিলররা। সাময়িক বরখাস্ত হওয়া মেয়র আরিফ সিটি করপোরেশনের সহযোদ্ধা কাউন্সিলরদের নিয়েই গতকাল একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ২০১৩ সালের ১৫ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে টানা দুইবারের মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে পরাজিত করে মেয়রের চেয়ারে বসা নিশ্চিত করেন আরিফ। শপথ নিয়ে দায়িত্বে অধিষ্ঠিত হওয়ার পর প্রায় ৯ মাস নির্বিঘ্নে কাজ চালিয়ে যান আরিফ। এ সময়ের মধ্যে সিলেট নগরীর জরাজীর্ণ চেহারা বদলে ‘মডেল নগরী’ হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় নামেন তিনি। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সহযোগিতায় সে প্রচেষ্টায় সফলতাও আসতে থাকে। কিন্তু ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জে বোমা হামলায় সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ্ এএমএস কিবরিয়া হত্যার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্রে যুক্ত হয় আরিফের নাম। পরোয়ানা জারি হয় আরিফের বিরুদ্ধে। ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে কারাগারে ঠাঁই হয় তার। উচ্চ আদালত থেকে উভয় মামলায় জামিন নিয়ে গত বছরের জুলাইয়ে মুক্ত হওয়ার প্রহর গুনছিলেন আরিফুল হক চৌধুরী। কিন্তু সুনামগঞ্জে সুরঞ্জিত সেনের জনসভায় বোমা হামলার ঘটনায় হত্যা এবং বিস্ফোরক মামলায় আরিফের নাম যুক্ত করে ২০ জুলাই সম্পূরক চার্জশিট দেয় সিআইডি। ২০০৪ সালের ২১ জুনের ওই ঘটনার মামলায় রুদ্ধ হয়ে যায় আরিফের মুক্তির পথ। তবে আইনি লড়াই চালিয়ে যান আরিফ। সেই ধারাবাহিকতায় সবকটি মামলায় জামিন পেয়ে গত ৪ জানুয়ারি কারামুক্ত হন তিনি। মুক্ত আরিফের পাশে দলীয় নেতাদের দেখা না গেলেও সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলররা তার কাছ থেকে দূরে সরে যাননি। জেল গেটে সংবর্ধনা জানানো থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে তারা ছুটে গেছেন তার কাছে। গতকাল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে যান আরিফ। তার শ্রদ্ধাঞ্জলিতে কোনো পদবী ছাড়াই কেবলমাত্র তার নাম লিখা ছিল। শহীদ মিনারে আরিফের সঙ্গে বিএনপির কোনো নেতাকে দেখা না গেলেও তার পাশে দাঁড়ান সিটি করপোরেশনের আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত অন্তত ১৪ জন কাউন্সিলর। সাময়িক বরখাস্ত হওয়া মেয়র আরিফকে সঙ্গে নিয়ে কাউন্সিলররা শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এদিকে, কারামুক্ত হলেও এখনই মেয়র পদ ফিরে পাওয়ার আইনি লড়াইয়ে নামছেন না আরিফ। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসা নিয়ে আগে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে পরবর্তীতে আইনি প্রক্রিয়ায় নগর ভবনে যাবেন তিনি।
শিরোনাম
- নেত্রকোনায় নিয়োগবিধিমালা সংশোধনের দাবিতে ক্লাস বর্জন, তালাবদ্ধ অধ্যক্ষ
- আর্মি সার্ভিস কোরের ৪৪তম বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- ‘গ্রাম পুলিশের দক্ষতা বাড়লে জনগণ পাবে উন্নত সেবা’
- গুজব প্রতিরোধে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সির বিশেষ সেল
- তাইওয়ান ইস্যুতে কূটনৈতিক দ্বন্দ্বে মুখোমুখি চীন ও জাপান
- প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে বেতন দিতে সম্মতি
- চট্টগ্রামে জাল নোট মামলায় যুবকের ১৪ বছর কারাদণ্ড
- ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের আলোচনা নাকচ সিরিয়া
- রাবি শিক্ষকের বহিষ্কার দাবিতে বিক্ষোভ
- জোর করে ঐকমত্য চাপিয়ে দেওয়া যায় না : রুমিন ফারহানা
- রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৫
- খ্যাতনামা অভিনেতা প্রেম চোপড়া হাসপাতালে ভর্তি
- জাতীয়করণের দাবিতে ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের টানা আন্দোলন
- দিল্লি বিস্ফোরণে জড়িত কেউ রেহাই পাবে না: মোদি
- সনদের বাইরের সিদ্ধান্ত স্বাক্ষরকারী দলগুলো মানতে বাধ্য নয় : সালাহউদ্দিন
- বাঞ্ছারামপুরে ৪ কেজি গাঁজাসহ তিন নারী গ্রেফতার
- ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৭০৩ মামলা
- ঢাকা-৯ আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র কিনলেন তাসনিম জারা
- ৫০০ কোটি পাউন্ডের বিটকয়েন নিয়ে যুক্তরাজ্যে গিয়ে বিপাকে চীনা নারী!
- ১৩ নভেম্বর কী হবে, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দেশবাসী : জিল্লুর রহমান
‘মেয়র’ আরিফের পাশে দাঁড়ালেন কাউন্সিলররা
শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট
প্রিন্ট ভার্সন
টপিক
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর