সোমবার, ১৩ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

৯ বছরেও শেষ হয়নি কাজ

রাজশাহীতে দুই সড়ক প্রশস্তকরণ, ব্যয় বেড়েছে ৯৬ কোটি টাকা

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

রাজশাহী মহানগরীর উপশহর মোড় থেকে সোনাদীঘির মোড় ও মালোপাড়া হয়ে সাগরপাড়া বটতলা মোড় পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পে সরকার অনুমতি দেয় ২০১১ সালে। ওই সড়কের জন্য অর্থও বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু নয় বছরেও সড়কটি প্রশস্তকরণ কাজ শেষ করতে পারেনি রাজশাহী সিটি করপোরেশন।

রাজশাহী-নওগাঁ প্রধান সড়ক থেকে মোহনপুর-রাজশাহী-নাটোর সংযোগ সড়কটি একনেকে অনুমোদন পায় ২০১১ সালের ২০ ডিসেম্বর। ওই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তার কাজও শুরু হয়েছে কিন্তু শেষ হয়নি। সরকার অনুমোদন দিয়ে অর্থ বরাদ্দ দিলেও নগরবাসীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ দুটি প্রকল্পের কাজ শুরু করে নয় বছরেও শেষ করতে পারেনি রাজশাহী সিটি করপোরেশন। ২০১১ সালে নেওয়া প্রকল্প দুটি বাস্তবায়নে সিটি করপোরেশন উদ্যোগ নেয় ২০১৮ সালে। ফলে শুধু ব্যয় বেড়েছে। দেরিতে কাজ শুরু করায় দুটি প্রকল্পে ব্যয় বেড়েছে ৯৬ কোটি টাকা।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ জানায়, নগরীর উপশহর মোড় থেকে সোনাদীঘির মোড় এবং মালোপাড়া হয়ে সাগরপাড়া বটতলা মোড় পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পটি ২০১১ সালের ২৩ আগস্ট একনেকে অনুমোদন পায়। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয় ৭২ কোটি ১৬ লাখ টাকা। একনেকের অনুমোদনের পর ২০১৩ সালে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ৩১ কোটি টাকা বরাদ্দ করে সরকার। সিটি করপোরেশনের তহবিলে টাকা এলেও সড়কটি প্রশস্ত করতে রাসিক ২০১৮ সালে উদ্যোগ নেয়। ফলে এ সড়কটি প্রশস্তকরণে ব্যয় বেড়েছে ৩৬ কোটি টাকা।

এখন প্রকল্পটির জন্য ব্যয় হবে ১০৮ কোটি টাকা।

তবে রাসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ জানান, সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সড়কটি প্রশস্তকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জমি অধিগ্রহণ করতে গিয়ে তারা বাধার মুখে পড়েন। ওই সড়কের পাশে থাকা তিনজন জমির মালিক আদালতে মামলা করায় সড়কটির কাজ আর এগোয়নি। তবে আইনি জটিলতা কাটিয়ে ওই সড়কের কাজ শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সড়কের পাশে থাকা স্থাপনা উচ্ছেদে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

নগরীর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ রাজশাহী-নওগাঁ প্রধান সড়ক থেকে মোহনপুর রাজশাহী-নাটোর সংযোগ সড়কটি একনেকে অনুমোদন পায় ২০১১ সালের ২০ ডিসেম্বর। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১২২ কোটি ৯১ লাখ টাকা। তবে প্রকল্পটি দেরিতে বাস্তবায়ন শুরু করায় এতে ব্যয় হয়েছে ১৮২ কোটি ৯১ লাখ টাকা। অর্থাৎ ব্যয় বেড়েছে ৬০ কোটি টাকা। এ সড়কটি নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণে বাধার মুখে পড়েছিল রাসিক। তা কাটিয়ে উঠতে সময় লেগেছে বলে জানিয়েছেন প্রকৌশলীরা।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, ২০১১ সালের হিসাবে প্রকল্পগুলোর ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবায়ন কাজ শেষ করতে প্রায় সাত বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। এতে সব প্রক্রিয়া শেষ করে দরপত্র আহ্বান করতে যে সময় প্রয়োজন হয়েছে, তাতে প্রকল্প দুটিতে ব্যয় বেড়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর