মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, আসন্ন ঈদুল আজহায় স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গবাদিপশু সরবরাহ, বিপণন এবং কোরবানি দেওয়া হবে। পরিবেশ রক্ষায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। একই সঙ্গে গবাদিপশুর ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যস্বত্বলোভী, অযৌক্তিক ও বেআইনি জুলুমের হাত থেকে বাঁচাতে হবে। মন্ত্রী গতকাল সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে নিজের দফতর থেকে অনলাইনে দুটি সভায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন।
অনলাইনে অনুষ্ঠিত সভা দুটিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন।
রেজাউল করিম বলেন, প্রতি বছর আমাদের কিছু খারাপ অভিজ্ঞতা হয়। কোরবানির পশু পরিবহনে রাস্তায় চাঁদাবাজি হয়, দীর্ঘসময় প্রাণীকে ট্রাকে আটকে রাখতে হয়। এবার কোনোরকম চাঁদাবাজি হবে না। যে অঞ্চলে সুযোগ আছে সেখান থেকে ট্রেনে পরিবহন হবে। খামারিদের খামারে পশু বিক্রয় হলে সেখান থেকে ইজারাদার টোল আদায় করতে পারবে না।
মন্ত্রী বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী এ বছরও দেশে কোরবানির জন্য গবাদিপশুর পর্যাপ্ত জোগান রয়েছে। এ বছর ১ কোটি ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০টি গবাদিপশু কোরবানির জন্য মজুদ রয়েছে। কোরবানির জন্য কোনো অবস্থাতেই বিদেশ থেকে গবাদিপশু আনার অনুমতি দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, করোনার কারণে গবাদিপশু বিপণনে এ বছর অনলাইন বাজারের ওপর জোর দেওয়ার চেষ্টা করছি। গবাদিপশু বিপণন ও পরিবহন সমস্যা সমাধানে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরে হটলাইন স্থাপন করা হবে। বাজারগুলোতে প্রায় ১ হাজার ২০০ মেডিকেল টিম কাজ করবে, যাতে রুগ্ন গবাদিপশু বাজারে না আসতে পারে। থাকবে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে মনিটরিং টিম।
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, গবাদিপশু পরিবহনে কোনোভাবেই যেন চাঁদাবাজি না হয়। খামারি ও গবাদিপশু বিক্রেতারা যেন কোনোভাবেই হয়রানির শিকার না হয়। সিন্ডিকেট করে ট্রাক আটকানো বন্ধ করতে প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে। যারা হাটের বাইরে পশু বিক্রি করবে তাদের কাছে যেন কেউ টোল বা হাসিল তুলতে না যায়। এ বিষয়গুলোতে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
এই ভার্চুয়াল সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।