শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা
রংপুরে ছাত্রী ধর্ষণ

এএসআই রায়হানের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুরে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণের মূল হোতা এএসআই রায়হানকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গতকাল কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আসামি এএসআই রায়হানুলকে মাথায় হেলমেট পরিয়ে পিবিআইর গাড়ি থেকে নামিয়ে আদালতে আনা হয়। পরে হারাগাছ সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ¯িœগ্ধা রায়ের কাছে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা  সাইফুল ইসলাম। এ সময় আদালত ৪ নভেম্বর রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে। পরে আসামিকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। রবিবার থেকে পুলিশ হেফাজতে থাকলেও বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রায়হানকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এর আগে বুধবার আরও দুই আসামিকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। গত শুক্রবার এএসআই রায়হান ওই ছাত্রীকে হারাগাছ থানা এলাকায় ক্যাদারের পুল নামক স্থানে ডা. শহিদুল্লাহ মিয়ার ভাড়াটিয়া সুমাইয়া আক্তার মেঘলা ওরফে আলেয়ার বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে রবিবার ভাড়াটিয়া মেঘলা ওরফে আলেয়া ও তার সহযোগী সুরভি আক্তারের সহায়তায় লালমনিরহাট জেলার বাসিন্দা বাবুল হোসেন ও আবুল কালাম আজাদ মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। ওই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ মেয়েটিকে ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

 এ সময় মেঘলাকে আটক করে পুলিশ। পরে রাতে আরেক সহযোগী সুরভিকেও আটক করা হয়। আটক মেঘলা ও সুরভি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি না দেওয়ায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়। এদিকে বুধবার বিকালে আসামি বাবুল ও আজাদ ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। এ ঘটনায় নির্যাতিতার বাবা বাদী হয়ে হারাগাছ থানায় মামলা করেন। পরে মামলাটি পিবিআইয়ে স্থানান্তর করা হয়।

পিবিআই রংপুরের পুলিশ সুপার জাকির হোসেন  জানান, আসামি রায়হান আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। তাই তার সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। ৪ নভেম্বর রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছেন বিচারক।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর