৯টি স্থলবন্দরের কাস্টমস স্টেশনে অবকাঠামোগত উন্নয়নের অংশ হিসেবে ১টি করে রাসায়নিক পরীক্ষাগার (কেমিক্যাল টেস্টিং ইউনিট) স্থাপন করতে একমত হয়েছে এনবিআর ও এডিবি। ফল আমদানিতে রাসায়নিকের মাত্রা পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন বন্দরে কেমিক্যাল টেস্টিং ইউনিট বসাতে হাই কোর্টের রায় বাস্তবায়নের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দেওয়া এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদন পাওয়ার কথা গতকাল নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। স্থলবন্দরগুলো হলো- ভোমরা, বুড়িমারি, হিলি, বাংলাবান্ধা, সোনামসজিদ, শ্যাওলা, তামাবিল, বিবিরবাজার ও টেকনাফ। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। এদিকে, ঢাকায় একটি সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরি তৈরির লক্ষ্যে গঠিত কমিটি ডিপিপি প্রণয়নের কাজ করছে। কভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে এডিবির টেকনিক্যাল টিমের যাতায়াত বন্ধ ছিল। এতে ফিজিবিলিটি টেস্টের কাজ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তবে বর্তমানে পুনরায় পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন স্থল ও নৌবন্দরের মাধ্যমে বিভিন্ন কেমিক্যালযুক্ত ফল আমদানি রোধের জন্য ২০১০ সালে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ রিট করেন। এ রিটের আলোকে ২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি দেশের সব স্থল ও নৌবন্দরে ছয় মাসের মধ্যে কেমিক্যাল টেস্ট ইউনিট স্থাপন এবং আমদানিকৃত সব ফলের কেমিক্যালমুক্ততা নিশ্চিত হয়ে দেশে প্রবেশের ব্যবস্থা করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে আদেশ দেয় হাই কোর্ট। এরপর আদেশের ধারাবাহিকতায় হাই কোর্টের রায় বাস্তবায়নের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে ব্যাখ্যা জানতে চায় আদালত। সে অনুসারেই এ প্রতিবেদন দেওয়া হয়।