বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বালেন্দা গ্রামের ১০০ বিঘা জমিতে বেগুনী ও সবুজ ধানের চারায় ফুটে উঠা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি দেখে অভিভূত হলেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’র মনোনীত প্রতিনিধিরা। গতকাল দুপুরে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ প্রতিকৃতি দেখতে সরেজমিন পরিদর্শনে আসেন সংস্থাটির দুই সদস্য শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহম্মদ ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ নামে এই প্রতিকৃতি তৈরিতে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের সব শর্তই পূরণ হয়েছে বলে মন্তব্য করে সংস্থাটির প্রতিনিধি প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহম্মদ বলেন, দুই জাতের ধানের চারায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে।

তাই আগামী তিন দিনের মধ্যে লন্ডনস্থ গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হবে। আর সাত দিনের মধ্যেই ফলাফল জানা যাবে। বিশে^র সর্ববৃহৎ শস্যচিত্র হিসেবে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পাওয়ার সব সৃষ্টি কর্মই এখানে দেখেছেন তারা। সর্বশেষ বিগত ২০১৯ সালে চীনে তৈরি শস্যচিত্রটির আয়তন ছিল ৮ লাখ ৫৫ হাজার ৭৮৬ বর্গফুট। আর বঙ্গবন্ধু শস্যচিত্রের আয়তন ১২ লাখ ৯২ হাজার বর্গফুট। শস্যচিত্রের দৈর্ঘ্য ৪০০ মিটার এবং প্রস্থ ৩০০ মিটার। যা হবে বিশে^র সর্ববৃহৎ শস্যচিত্র। এছাড়া শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি তৈরি করার জন্য গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের শর্ত অনুযায়ী দুই ধরনের ধানের চারা লাগানো হয়েছে। যার মাধ্যমে জাতির জনকের সুস্পষ্ট অবয়ব ফুটে উঠেছে বলে জানান তিনি।