রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে খুলনার করোনা ডেডিকেটেট হাসপাতালে কর্তব্যরত ডা. সুমিত পালকে মারধরের ঘটনায় আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন চিকিৎসকরা। অন্যথায় আজ সন্ধ্যা ৭টা থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। গতকাল দুপুরে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ), খুলনা আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। জানা যায়, ৩ এপ্রিল রাতে করোনা ইউনিটে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের রফিকুল ইসলামের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রোগীর স্বজনরা ডা. সুমিত পালকে কিল, চড় ঘুষি মেরে আহত করেন। তাকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ওই ঘটনায় ডা. সুমিত পাল এবং খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মঞ্জুর মোর্শেদ থানায় মামলা করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত আসামিদের গ্রেফতার করা হয়নি। বিএমএ খুলনা সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম বলেন, কভিড ডেডিকেটেট হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করার ঘটনা দুঃখজনক। আত্মরক্ষার জন্য চিকিৎসকরা কভিড রোগীর চিকিৎসা দিতে বিরত থাকলে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। তিনি বলেন, চিকিৎসকদের কর্মস্থলে নিরাপত্তা প্রদানসহ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করা না হলে জরুরি বিভাগ ছাড়া সব ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা কর্মবিরতি শুরু করবেন। আজ সন্ধ্যা ৭টা থেকে এ কর্মবিরতি শুরু হবে। সংবাদ সম্মেলনে বিএমএ, খুলনার সাধারণ সম্পাদক ডা. মেহেদী নেওয়াজ, ডা. বঙ্গ কমল বসু, খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মঞ্জুর মোর্শেদ উপস্থিত ছিলেন।
চিকিৎসক নেতারা ৬ দফা দাবি জানিয়ে বলেন, অবিলম্বে ডা. সুমিত পালের ওপর হামলার মামলার আসামিদের গ্রেফতার করতে হবে। এছাড়া হাসপাতালে কর্মস্থলে নিরাপত্তা জোরদার, চিকিৎসা সুরক্ষা আইন তৈরি, ভুল চিকিৎসা বা অবহেলা জনিত মৃত্যু প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসককে হয়রানি না করা ও হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা উপকরণ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
বিএমএ, খুলনার সাধারণ সম্পাদক ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মামলা দায়েরের পর থেকে পুলিশকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটামের কথা জানানো হয়। আজ সন্ধ্যার মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করা না হলে টানা কর্মবিরতি শুরু হবে।