রমজানেও বিদ্যুৎ ও পানির ভোগান্তি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না সিলেট নগরবাসী। বরং সংকট বেড়েছে আরও। ইফতার-সাহরিতেও আসা যাওয়া করে বিদ্যুৎ। আর পানির জন্য রাত জেগে দাঁড়াতে হচ্ছে লাইনে। এ নিয়ে ক্ষোভের শেষ নেই নগরবাসীর। সংকট নিরসনে সিটি করপোরেশন ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) দৃষ্টি আকর্ষণ করেও সমাধান পাচ্ছেন না তারা। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভোগান্তি কমাতে তারা আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সিলেটে প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা ১৪৪ থেকে ১৪৫ মেগাওয়াট। কিন্তু সরবরাহ রয়েছে প্রায় ৪৩০ মেগাওয়াট। চাহিদার প্রায় তিন গুণ সরবরাহ থাকলেও চরম বিদ্যুৎ ভোগান্তিতে রয়েছেন বিউবো সিলেটের আওতাধীন প্রায় ৪ লাখ গ্রাহক। গরমের মধ্যেও প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ বার আসা যাওয়া করে বিদ্যুৎ। নামাজের সময়, ইফতার ও সাহরির সময়ও চলে যায় বিদ্যুৎ। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন গ্রাহকরা। এ ছাড়া সামান্য বৃষ্টি বা ঝড়ো হাওয়া বইলেও চলে যায় বিদ্যুৎ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা থাকতে হয় অন্ধকারে। বিদ্যুতের এই আসা-যাওয়াকে লোডশেডিং বলে মানতে নারাজ বিউবোর প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল কাদির। তার দাবি, নগরীতে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ও খাম্বা পরিবর্তন এবং ভূগর্ভস্থ সঞ্চালন লাইনের কাজ চলছে।