বুধবার, ২৬ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

১৮৯ বছর আগের জ্ঞানঘরের বাতি নিভুনিভু

নজরুল মৃধা, রংপুর

১৮৯ বছর আগের জ্ঞানঘরের বাতি নিভুনিভু

একসময় এ অঞ্চলের জ্ঞানচর্চার অন্যতম স্থান ছিল রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি। ১৮৯ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত এই জ্ঞানঘরের বাতি এখন নিভুনিভু। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এমন অবস্থা বলে মনের করছেন স্থানীয় জ্ঞানপিপাসুরা। দেশের প্রাচীনতম একটি গণগ্রন্থাগার ‘রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি’। ১৮৩২ সালে কুন্ডীর জমিদাররা এই লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর রাজমোহন রায়চৌধুরী প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক আর্থিক দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে তুষভান্ডারের জমিদার রমণীমোহন রায়চৌধুরী এবং কাকিনার জমিদার মহিমারঞ্জন রায়চৌধুরী গ্রন্থাগারটির পৃষ্ঠপোষকতা করেন। পরবর্তীতে ১৮৫৪ সালে কাকিনার জমিদার রাজা মহিমারঞ্জন রায়চৌধুরী ১ একর ১৮ শতক জমি পাবলিক লাইব্রেরির জন্য দান করেন। এই প্রতিষ্ঠানটি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। দীর্ঘদিন ধরে ভবনটি জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। এই লাইব্রেরির ধ্বংবাশেষের মধ্যে যে মূল্যবান বই রয়েছে তা যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করায় বইগুলোও নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। প্রাচীন ভবন হওয়ায় এটি ভেঙে ফেলার ষড়যন্ত্র হচ্ছে দাবি করেছেন সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেকে।

প্রাচীন এই জ্ঞানঘরটি প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন হিসেবে রক্ষার দাবি উঠেছে সাহিত্যপ্রেমীদের কাছ থেকে। সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন বলেন, পাবলিক লাইব্রেরির হলরুম ও মূল ভবনের পেছনের অংশ পুনঃনির্মাণ এবং টয়লেট নির্মাণের জন্য গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। তিনি কাজটি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এছাড়া পাবলিক লাইব্রেরির ধসে পড়া বারান্দা দুটি পুনঃনির্মাণের জন্য সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ১ লাখ ৯৪ হাজার টাকার একটি প্রাক্কলন প্রস্তুত করা হয়েছে। মেয়র এটি করে দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেছেন বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, পাবলিক লাইব্রেরিটি নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এটা রক্ষার দায়িত্ব সবার।

সর্বশেষ খবর