শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ছুটির দিনে আইসিসিবিতে জমজমাট প্লাস্টিক মেলা

এক ছাদের নিচে পণ্য-যন্ত্র কাঁচামাল

রাশেদ হোসাইন

আবদুর রহমান নরসিংদী থেকে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় এসেছেন প্লাস্টিকের ব্যাগ তৈরির মেশিন ক্রয় করার জন্য। তিনি বলেন, বাইরে অনেক জায়গায় মেশিন খুঁজেছি। মেলায় এসে পেয়ে গেলাম। অন্যান্য জায়গা থেকে তুলনামূলক কম দামে এখানে পণ্য পাওয়া যাচ্ছে। এরকম মেলা প্রতি বছর হওয়া উচিত।

মেলায় কথা হয় জাপান প্যাভিলিয়নের বাংলাদেশি প্রতিনিধি মিনোয়া এজেন্সির পারভেজ আহাম্মেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। গ্লোবাল কম্পিটিশনে টিকতে হলে আমাদের প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে। জাপানের হাই টেকনোলজির পণ্য নিয়ে মেলায় এসেছি। জাপানের পণ্য মানসম্মত ও বিশ্বব্যাপী প্রসিদ্ধ। মেলায় ফুজি কিকাই কোগিং, শুমিতামো, হাগিহারা ও নিরেকো কোম্পানি মিলে জাপান প্যাভিলিয়নে অংশগ্রহণ করছে। আমাদের প্যাভিলিয়নে মূলত ফ্যাক্সিবল প্যাকেজিং, ফুড অ্যান্ড ফার্মা প্যাকেজিং পণ্য প্রদর্শনী রয়েছে। এ ছাড়া রটো গ্রাভিডর প্রিন্টিং মেশিন, ডাই লেমনেটিং স্কিটিং মেশিন, এস্টুশন মেশিন রয়েছে।

মেলায় দেশি-বিদেশিসহ নামকরা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য নিয়ে এসেছে। এখানে রয়েছে প্লাস্টিকের গৃহস্থালী সামগ্রী, খেলনা, আসবাব, মেলামাইন, পোশাক খাতের প্লাস্টিক সরঞ্জাম, পিপি ওভেন ব্যাগ, পণ্য মোড়কীকরণের উপকরণ, প্লাস্টিক মোল্ডসহ আরও অনেক কিছু। এ ছাড়া মেলায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো প্লাস্টিক ইনজেকশন মোল্ডিং, প্যাকেজিং, ফ্লেক্সোগ্রাফিক, পেট ব্লো, প্লাস্টিক ব্যাগসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরির যন্ত্রও প্রদর্শন করছে। ফলে এক ছাদের নিচে মিলছে নানা প্রোডাক্ট। বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজিএমইএ) আয়োজনে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) চলছে এ মেলা। এটি ১৫তম আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক ফেয়ার (আইপিএফ)। আজ মেলার শেষ দিন।

বিপিজিএমইএ সভাপতি সামিম আহমেদ জানান, এ মেলায় বিশ্বের ২১টি দেশ অংশ নিয়েছে। যা এখন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় ইভেন্টগুলোর একটি। তিনি জানান, এবার দেশি-বিদেশি মিলে ৪৯৪টি কোম্পানির ৭৫০টি স্টল মেলায় অংশ নিয়েছে। এতে মেশিনারিজ, মোল্ড, কাঁচামাল উৎপাদনকারী ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানসহ দেশে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

মেলা ঘুরে দেখা যায়, এবারের মেলায় দেশি প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশি। এরমধ্যে চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারতের প্রতিষ্ঠান বেশি। যেখানে বাংলাদেশি বিভিন্ন প্লাস্টিকের ছোট ছোট উদ্যোক্তারা তাদের পণ্য ও সেবা সম্পর্কে জানতে পারছেন। আবার বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধি বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্টলে তাদের পণ্য সম্পর্কে ধারণা নিচ্ছেন।

প্লাস্টিক মেলা ১৯৮৯ সাল থেকে বিপিজিএমইএ এবং বিসিক যৌথভাবে আয়োজিত হয়ে আসছে। তবে শুরুতে স্বল্প পরিসরে ছিল। সবশেষ ১৪তম আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক ফেয়ার অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে। তবে কভিডের কারণে গত তিন বছর এ মেলা ছিল বন্ধ। এ বছর বসেছে ১৫তম আসর।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর