শনিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা
সংক্ষিপ্ত

রাজধানীতে কলেজছাত্রীসহ দুজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় কলেজছাত্রীসহ দুজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- বাড্ডায় কলেজছাত্রী হ্যাপি আক্তার (১৯) ও হাতিরঝিলে শহিদুল ইসলাম বাবু (৩৫)। সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ তাদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) মর্গে পাঠিয়েছে। গতকাল দুপুরে বাড্ডার হাজীপাড়া আবদুল্লাহবাগ মসজিদের পাশের একটি বাসা থেকে কলেজছাত্রী হ্যাপির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। স্বজনরা জানান, হ্যাপির কক্ষের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। দরজা খুলতেই লাশ ঝুলতে দেখা যায়। কী কারণে হ্যাপি মৃত্যুর পথ বেছে নিলেন সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি কেউ। তার বাড়ি শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে। বাড্ডায় ওই বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন এবং স্থানীয় একটি কলেজে পড়তেন।

হ্যাপির ভাই ফজলে রাব্বী জানান, বাবা জাফর হোসেন কয়েক বছর আগেই মারা গেছেন। মা ফিরোজা বেগমকে নিয়ে ওই বাসায় ভাড়া থাকেন। সকাল থেকে নিজের কক্ষেই ছিলেন হ্যাপি। দুপুর ১২টার দিকে তার কক্ষের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ দেখতে পান স্বজনরা। অনেক ডাকাডাকির পরও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে দেখেন, হ্যাপি ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন। চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে হ্যাপি দ্বিতীয়।

এদিকে, গতকাল সকালে মগবাজার ফ্লাইওভারে পিকআপ ভ্যানচাপায় বাবুর মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলাকা পরিবহনের বাসচালক ছিলেন। তার বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইলে। বর্তমানে উত্তরা জসিম উদ্দিন রোড এলাকায় থাকতেন। বলাকা পরিবহনের আরেক বাসচালক মো. কানন জানান, তারা বাসটি নিয়ে কমলাপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। ওই বাসটিতে ঘুমিয়ে ছিলেন কানন। আর হেল্পার না থাকায় গেটে দাঁড়িয়ে ছিলেন বাবু। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন তাদেরই আরেক বন্ধু। মগবাজার ফ্লাইওভার ব্রিজের ওপরে অন্য একটি গাড়ি পাশ থেকে তাদের বাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে রেলিংয়ের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বাসের গেটে দাঁড়িয়ে থাকা বাবু পড়ে যান। এরপর পেছন থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যানের নিচে চাপা পড়ে তিনি মারা যান।

হাতিরঝিল থানার এসআই রুহুল আমিন জানান, কোন গাড়িটি চাপা দিয়েছিল তা শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ খবর