শুক্রবার, ৯ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

রাষ্ট্রপতির কাছে ব্রিটিশ হাই কমিশনারের পরিচয়পত্র পেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে তেল, গ্যাসসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। বাসস

বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ব্রিটেনের হাইকমিশনার সারাহ কুক গতকাল সকালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে তাঁর পরিচয়পত্র পেশকালে তিনি এ আহ্বান জানান। হাইকমিশনার বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকশ দল তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। ব্রিটেনের নতুন হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ব্রিটেন বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও কারিগরি উন্নয়নে যুক্তরাজ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে প্রথমেই যুক্তরাজ্যে পদার্পণ করলে তাঁকে ব্যাপক সম্মান দেওয়ায় রাষ্ট্রপতি তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও ব্রিটেনের জনগণের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, সেই থেকেই বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের একসঙ্গে পথচলা শুরু এবং কালের পরিক্রমায় এ সম্পর্ক আজ দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তৃত।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বাসসকে জানান, সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি যুক্তরাজ্যের নতুন রাজাকে অভিনন্দন জানান।

হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের অংশীদারি মজবুত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এ অব্যাহত উন্নয়নে তাঁর দেশ সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে। হাইকমিশনার দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করেন।

এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বডুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম ও সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

অ্যাটকো প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ : রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন মুক্তিযুদ্ধ ও উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। টেলিভিশন চ্যানেল মালিক সমিতি- অ্যাটকোর ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গতকাল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও উন্নয়নকে প্রাধান্য দিন। নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে গণমাধ্যমকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে না পারলে আমাদের সব অর্জন বৃথা হয়ে যাবে।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও রাষ্ট্রপতির সচিবরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মাছরাঙা টেলিভিশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও অ্যাটকোর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী এবং ডিবিসি নিউজের চেয়ারম্যান ও অ্যাটকোর সহসভাপতি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। অ্যাটকো সভাপতি সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রম রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।

প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন সংগঠনের সহসভাপতি ও ইনডিপেনডেন্ট টিভির পরিচালক আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান, অ্যাটকো পরিচালক বৈশাখী টিভির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলন, বাংলাভিশনের চেয়ারম্যান আবদুল হক, আরটিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির বাবলু, সময় টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ জোবায়ের, নাগরিক টিভির পরিচালক নাভিদুল হক, ইটিভির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সামাদ, চ্যানেল আইয়ের পরিচালক জহিরুদ্দিন মাহমুদ মামুন ও এনটিভির পরিচালক মো. আশফাক উদ্দিন আহমেদ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর