নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বরিশালে সাংবাদিকদের বলেছেন, অতীতকে পরিবর্তন করা যায় না। কিন্তু অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে এমন একটা নির্বাচন করা হবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এবং ভবিষ্যৎ সব নির্বাচনের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।
গতকাল দুপুরে বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, ‘কোন দল নির্বাচনে এলো-না এলো এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। এটা নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। এখনো আমি মনেপ্রাণে চাই সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনে অংশ নিক।’
নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কি না জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রতিটি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হয়েছে। এটা নিয়ে কমিশনে একটা সভা আছে। সভায় আলোচনা করে সেনাবাহিনীর কার্যপরিধি নির্ধারণ করা হবে। ব্যক্তিগত মতামত দিয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, সেনাবাহিনী থাকবে। তারা স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং টহল দায়িত্ব পালন করবে।
নির্বাচনে ভোটার আসবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করার দায়িত্ব প্রার্থীদের। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব হচ্ছে ভোটারদের নিরাপত্তা দেওয়া। তারা যাতে কেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোট দিতে পারেন এবং ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা।
এর আগে জেলা প্রশাসনের হলরুমে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বরিশাল, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলার নির্বাচনসংশ্লিষ্টদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান। বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলীর সভাপতিত্বে সভায় বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মো. জামিল হাসান, পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম ও জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলামসহ বিভাগীয় ও তিন জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।