প্রথমবারের মতো উচ্চপর্যায়ের সফরে ঢাকা আসছেন দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা। দেশটির রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে ব্রাজিলের তুলা উৎপাদকদের সংগঠন এবিআরএপিএ এবং জাতীয় তুলা রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন (এএনইএ) আয়োজিত ‘কটন ব্রাজিল আউটলুক ২০২৪ বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে একথা জানান। তিনি বলেন, এপ্রিলের ৮ তারিখে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করবেন। এই সফর হবে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মাইলফলক। কেননা এই প্রথম ব্রাজিলের এমন উচ্চপর্যায়ের কেউ বাংলাদেশ সফর করছেন। এর মাধ্যমে আমরা সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে পারব। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের শীর্ষ রপ্তানি খাত পোশাক শিল্পে ব্রাজিলের তুলা ব্যবহারের বিভিন্ন দিক এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়। অন্যদের মধ্যে এবিআরএপিএ প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দ্রে পেদ্রো শেনকেল ও ভাইস প্রেসিডেন্ট গুস্তাবো ভিগানো পিকোলি, এএনইএ প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল ফাউস, ওয়াজির ইন্ডিয়ার ব্যবসায় পরিচালক বরুণ বৈদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
ব্রাজিলের তুলা কেনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রয়েছে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে। ২০২২-২৩ সালে ব্রাজিল থেকে ২৩৩ টন তুলা আমদানি করেছে বাংলাদেশ; ২০২৩-২৪ সালে এখন পর্যন্ত ১৩২ টন আমদানি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে ২০২২-২৩ সালে ব্রাজিল থেকে ৬ হাজার ৬৩ কোটি টাকার তুলা আমদানি করেছে বাংলাদেশ। তার আগের বছর এই অঙ্ক ছিল ৩ হাজার ৯৫৩ কোটি টাকা। ব্রাজিলের তুলা রপ্তানিকারকরা তাদের পণ্যের বিভিন্ন ইতিবাচক দিক এবং বৈশ্বিক তুলা বাজারের পরিস্থিতি অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন। ‘ভূ-রাজনৈতিক জটিলতা’ সত্ত্বেও বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার মন্ত্রকে সমর্থন করার কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ফেরেস বলেন, কীভাবে আপনারা এসব থেকে দূরে থাকার সংগ্রাম করছেন এবং তরী চালিয়ে নিচ্ছেন; ব্যবসা করছেন এবং ভবিষ্যতের দিকে লক্ষ্য ধরে এগিয়ে যাচ্ছেন? ভৌগোলিক দূরত্ব অনেক হলেও কৃষি উৎপাদন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে দুই দেশের অবস্থা ‘একই রকম’ বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত।
