সরকারবিরোধী হরতাল-মিছিল আন্দোলনে সক্রিয় থাকায় খুলনা মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মাহামুদুল হক টিটোকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে ২০১২ সালে ২২ এপ্রিল। একই সঙ্গে আযম খান কমার্স কলেজের ছাত্রদল নেতা ফেরদৌস রহমান মুন্না গ্রেপ্তার হয়। তাদের গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ও হ্যান্ডকাপ পরিয়ে নেওয়া হয় খুলনা থানার দোতলার একটি কক্ষে। সেখানে টিটোকে ফ্যানের হুকের সঙ্গে ঝুলিয়ে নির্মম নির্যাতন করা হয়। এতে তার বাম পায়ের হাড় ভেঙে যায় ও মেরুদন্ডের হাড় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এদিকে ঘটনার ১২ বছর পর গতকাল খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজেস্ট্রেসি আমলি আদালতে তৎকালীন ওসি এসএম কামরুজ্জামানসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মাহামুদুল হক টিটো বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আ ফ ম মোস্তাকুজ্জামান জানান, বিচারক অভিযোগ আমলে নিয়ে ১৭ অক্টোবরের মধ্যে পুলিশ কমিশনারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। অপর আসামিরা হলেন- খুলনা থানার তৎকালীন এএসআই মো. শাহআলম, এসআই মো. জেলহাজ উদ্দিন, কনস্টেবল কাশেম, জাহিদ, তারক, ইস্রাফিল, তৎকালীন পুলিশ কমিশনার শফিকুর রহমান ও তৎকালীন ডেপুটি পুলিশ কমিশনারসহ ৯ জন। টিটোর অভিযোগ, অসুস্থ অবস্থায় দীর্ঘদিন জেলহাজতে থাকার পর জামিনে বের হলেও আবার তাকে মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়। তার পরিবারকে থানায় ডেকে এনে ভয়ভীতি দেখানো হয়। পুলিশের নির্যাতন ও মিথ্যা মামলায় তিনি আর্থিক-শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও তার ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে গেছে।