শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁঁইয়া বলেছেন, রাজনৈতিক দলের ব্যাপারে রিউমার বা বিভিন্ন কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে। অনেকেই শুনতে চাচ্ছে আমাদের থেকে। এর আগে আমরা এটাও স্পষ্টভাবে বলেছি, এখনই রাজনৈতিক দল খোলার কোনো অভিপ্রায় আমাদের নেই। এই অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন, তাদের ক্ষমতার অভিলাষ নেই। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর তেরখাদিয়া এলাকায় জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাবিষয়ক গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শক অধিদপ্তরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, আমরা যে সংস্কারের কথা বলছি, সেটা ছিল এক দফা সংস্কার। এই ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ। শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়েছে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। এক দফার মূল অংশ ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ। এই ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপের জন্য যে সংস্কারগুলো অত্যাবশকীয় সেগুলো করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এগুলো জনগণের ম্যান্ডেটের ভিত্তিতেই হয়েছে। উপদেষ্টা বলেন, জনগণ নির্বাচন বা ক্ষমতার পালাবদলের জন্য অভ্যুত্থানে আসেনি। যদি আসত তাহলে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগেই আসত বলে আমি মনে করি। অভ্যুত্থান হয়েছে স্পষ্টভাবে এই ফ্যাসিবাদী বিলুপ্তের জন্য। যে ব্যবস্থা বিদ্যমান আছে, যদি এটার সংস্কার করে দিয়ে যেতে না পারি, আমরা মনে করি যেই সরকারই ক্ষমতায় আসুক, যে রাজনৈতিক সরকার এই অটোক্রেডিট একটা সিস্টেমের মধ্যে সে নিজেও অটোক্রেডিট হতে বাধ্য হবে। সে কারণে আমরা মনে করি, দেশের জনগণ যেভাবে দেশকে গড়তে চাইবে, পুনর্গঠনের যে প্রস্তাবনা মানুষের মধ্যে থেকে আসবে সেটার বাস্তবায়ন করা আমাদের দায়িত্ব হবে।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, আপনারা জানেন উপদেষ্টাদের সবারই যার যার পেশাগত জীবন আছে। সবাই সেখানে ফিরে যেতে চান। দেশের মানুষ গণ অভ্যুত্থনার মধ্য দিয়ে যে দায়িত্ব দিয়েছে সেটি যথাযথভাবে পালন করা, মানুষের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে একটি নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রতিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা মূল উদ্দেশ্য।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুর রহিম খানের সভাপতিত্ব বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জান, আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর টুওমো পুটিআইনেন প্রমুখ।