পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মাদ রফিকুল আলম বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন কি না, সে তথ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে নেই। এ ছাড়া তিনি কোন স্ট্যাটাসে সেখানে আছেন, সেটা ভারত সরকারের বিবেচনাধীন বিষয়। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন চুক্তির বিষয়ে মুখপাত্র বলেন, ভারতের সঙ্গে যেসব চুক্তি হয়েছে, তার সব চুক্তি প্রকাশিত। ঢাকা-দিল্লি দ্বিপক্ষীয় সব চুক্তি ভারতের ওয়েবসাইটে আছে, আমলাতান্ত্রিক অদক্ষতায় বাংলাদেশে এটা প্রকাশিত হয়নি।
চুক্তিগুলো বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সঙ্গে হয়েছে। কোনো মন্ত্রণালয় ও সংস্থা পর্যালোচনা অনুভব করলে, করতে পারে। তবে ভারতের সঙ্গে কোনো গোপন চুক্তি আছে কি না তা আমার জানা নেই।
তিনি বলেন, ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলবের পরিপ্রেক্ষিতে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারকে ভারতের পরারষ্ট্র মন্ত্রণালয় ডেকেছিল। ডেপুটি হাইকমিশনার বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা জানান। আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী নোম্যান্সল্যান্ডের ১৫০ গজের মধ্যে কোনো স্থাপনা করা যাবে না। কিন্তু সেটি না মেনে লালমনিরহাটসহ ৩ হাজার ২৭১ কিলোমিটার স্থানে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এমতাবস্থায়, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মুখপাত্র বলেন, আগামী ২০ জানুয়ারি নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়াম অংশগ্রহণ করবেন। ঐতিহ্য অনুযায়ী, মার্কিন প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে বিদেশি মিশনপ্রধানরা দাওয়াত পেয়ে থাকেন। আমাদের কাছে যে চিঠি আছে সেখানে পরিষ্কারভাবে বলা আছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশি মিশনের প্রধান যারা আছেন তারা ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভুল তথ্য প্রকাশের জন্য আপত্তি ও উদ্বেগ জানাতে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধিকে ডেকে লিখিত বক্তব্য চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জুলাই গণহত্যার তথ্য সংগ্রহ করে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের কাছে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২১ থেকে ২৪ জানুয়ারি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে অংশ নিতে সুইজারল্যান্ড সফর করবেন।