বরিশাল বিভাগের একমাত্র শিশু হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শেষ হলেও ৭ বছরে চালু হয়নি। জনবল ও বিদ্যুতের সাব-ষ্টেশন এবং পানি সরবরাহের যন্ত্র স্থাপন না হওয়ায় হাসপাতালটি বুঝে নিচ্ছে না পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়া বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আজ (শনিবার) স্বাস্থ্য সচিবের হাসপাতালটি পরিদর্শন করার কথা রয়েছে। সেই জন্য চলছে হাসপাতাল পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম।
জানা গেছে, নগরীর আমানতগঞ্জ এলাকায় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের পাশে ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারী বরিশাল শিশু হাসপাতালের নির্মান কাজ শুরু হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়ের বাস্তবায়নে ২০০ শয্যাবিশিষ্ট এ হাসপাতালের নির্মান কাজের ঠিকাদার হলেন সাইদুর রহমান রিন্টু। ২৪ মাসের মধ্যে হাসপাতালের নির্মান কাজ শেষ করার কথা ছিলো।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার দেবাশিষ সাহা বলেন, পুকুর ভরাট ও পাইল নির্মান নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হয়। ওই সমস্যা সমাধানের পর করোনার কারনে কাজ বন্ধ ছিলো। তাদের কাজ শেষ হয়েছে। হাসপাতালে বিদ্যুত সরবরাহের জন্য সাব ষ্টেশন ভবন নির্মান কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু বরাদ্দের অভাবে জেনারেটর ও ট্রান্সফরমার স্থাপন করা হয়নি। এছাড়াও পানি সরবরাহের মটর স্থাপন করা হয়নি। তিনি বলেন, হাসপাতালটি পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়া বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাব স্টেশন ছাড়া দায়িত্ব বুঝে নেয়নি। তারা বুঝে নিতে চাইলে হাসপাতাল ভবন বুঝিয়ে দেয়া যাবে।
দেবাশিষ সাহা বলেন, শনিবার স্বাস্থ্য ও সেবা বিভাগের সচিবসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিদর্শন করতে আসবেন। তারা এলে কি সিদ্বান্ত দেয় তখন বলতে পারবো কবে নাগাদ দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হবে।
তিনি জানান, ১০ তলা ভিত্তির উপর চারতলা এ হাসপাতালের নির্মান ব্যয় ২৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা। বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, শনিবার সচিব ও মহাপরিচালক বরিশালে আসবেন। তাদের সফর সুচীতে হাসপাতাল পরিদর্শন নেই। তারপরেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, হাসপাতালটি পরিচালনার দায়িত্বে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ রয়েছে। তারা কেন বুঝে নিচ্ছে না , সেটি তারা ভালো বলতে পারবেন।
এ বিষয়ে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মশিউল মুনীর বলেন, সরকারী সিদ্বান্ত অনুযায়ী এ হাসপাতাল পরিচালনা করবে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং এখানকার শিশু ওয়ার্ডগুলো ওখানে শিফট করতে হবে। ২০০ শয্যার এ হাসপাতাল পরিচালনা করতে সাড়ে তিন শ’ পৃথক জনবল দরকার। যার কোন বরাদ্দ এখনো মেলেনি। হাসপাতালটিতে পৃথক সাব স্টেশন পর্যন্ত নেই। যেটি ছাড়া আমি কিছুই করতে পারবো না।