কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নের জগমোহনপুর গ্রামে আজিজুল হক রবিন নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্ত্রীর ডিভোর্স লেটার পেয়ে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন বলে দাবি করেন তার স্বজনেরা।
আজ রবিবার (১৫ জুন) পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। রবিন একই গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজিজুল হক রবিন আট বছর পূর্বে পাশ্ববর্তী সদর দক্ষিণ উপজেলার গোয়ালগাঁও গ্রামের নাছিমা আক্তারকে বিয়ে করেন। তাদের দাম্পত্য জীবনে জান্নাত আরা নামের ছয় বছর বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে উভয়ের ঝগড়া লেগে থাকতো। ঝগড়ার জের ধরে ছয় মাস আগে নাছিমা আক্তার একমাত্র সন্তানকে রেখে বাবার বাড়িতে চলে যায়। দুই মাস আগে নাছিমা আক্তার স্বামী আজিজুল হক রবিনের ঠিকানায় ডিভোর্স লেটার পাঠান। পরিবারের লোকজন আজিজুল হক রবিনকে বিষয়টি অবগত করেনি। আজিজুল হক রবিন ঈদের ছুটি শেষে পাশ্ববর্তী গার্মেন্টসে চাকরিতে যোগদানের ‘পরিচয়পত্র’ খুঁজতে গিয়ে ডিভোর্স লেটার দেখতে পান। এরপর থেকে তিনি ভেঙে পড়েন। শনিবার বিকেল থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর রবিবার সকালে বাড়ির পাশের একটি গাছে তার লাশ ঝুলতে দেখা যায়।
নিহত আজিজুল হক রবিনের ভাই আশরাফুল ইসলাম শাওন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ভাই রবিনের সাথে ভাবী নাছিমা আক্তারের ঝগড়া চলছিল। এরই জের ধরে ছয় মাস আগে নাছিমা আক্তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। দুই মাস আগে ডিভোর্স লেটার পাঠায় নাছিমা আক্তার। বিষয়টি পরিবারের পক্ষ থেকে গোপন রাখলেও দুদিন আগে তিনি ডিভোর্স লেটারটি দেখে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।’
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ জানান, ‘আজিজুল হক রবিনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।’
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ