স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, কোনো নির্ধারিত কোরবানির পশুর হাটের উদ্দেশে যাওয়া গাড়ি মাঝপথে থামানো হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঈদুল আজহা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন তিনি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঈদুল আজহার সময়ে সাধারণত আমাদের কোরবানির গরুর হাটগুলোর মধ্যে শৃঙ্খলার ঘাটতি দেখা যায়। সেজন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে যেসব কোরবানির পশু বা গরুর গাড়ি আসবে সেসবের সামনে সুনির্দিষ্ট হাটের তথ্য থাকতে হবে। যেখানে সেখানে গরু নামাতে পারবে না। রাস্তায় গরু না নামিয়ে নির্ধারিত স্থানে নামাতে হবে। উপদেষ্টা বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিটি হাটেই আনসার রাখতে হবে। কিছু হাটে ৭৫ জন করে আবার কিছু হাটে কমবেশি হতে পারে। নিরাপত্তার পাশাপাশি হাটে গরুর চিকিৎসক থাকতে হবে। কোনোভাবেই যেন অসুস্থ গরু বিক্রি না হয়। তিনি বলেন, অনেক সময় গরুর আঘাতে মানুষ আহত হন, এজন্য ফার্স্ট এইডেরও ব্যবস্থা রাখতে হবে। এ বছর শতকরা ৫ টাকা হাসিল নিলেও আগামী বছর থেকে ১০০ টাকায় ৪ টাকা হারে নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ঈদের পাঁচ দিন আগে থেকে বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে এবং ঈদের পর তিন দিন চলাচল বন্ধ থাকবে। এটা কোনো অবস্থায় রাতে চলাচল করতে পারবে না। উপদেষ্টা আরও বলেন, ঈদ সামনে রেখে কোনো বাস, ট্রেন, নৌযানে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না। একই নিয়ম থাকবে পশু আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রেও।
ব্রিফিংকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী, র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।