বেসরকারি শিক্ষক হিসেবে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর এবং ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়োগ দিতে গণ বিজ্ঞপ্তির দাবিতে ‘লংমার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচিতে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন নিয়োগ প্রত্যাশীরা। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শিক্ষকদের একটি বিশাল মিছিল সচিবালয়ের দিকে রওনা হয়। তবে সচিবালয়ের ৫ নম্বর গেট সড়কেই তাদের আটকে দেয় পুলিশ। এ সময় শিক্ষকরা ব্যারিকেড সরিয়ে সচিবালয়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও বেশি সংখ্যক পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে আসেন এবং শিক্ষকদের ঘিরে ফেলেন। তখন হাতে থাকা হ্যান্ডমাইক দিয়ে একজন শিক্ষক পুলিশকে উদ্দেশে বলেন, ‘দয়া করে আমাদের মারবেন না। আমরা ন্যায্য দাবি নিয়ে সচিবালয়ে যাচ্ছি। প্রয়োজনে আপনারা আমাদের দাবিগুলো শুনুন। যদি মনে করেন আমাদের দাবি অযৌক্তিক, আমরা ফিরে যাব। তবুও আমাদের গায়ে হাত তুলবেন না। এর আগে, শিক্ষকদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, আজ যেন তার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।’
পুলিশ শিক্ষকদের এলাকা ছাড়তে বললেও শিক্ষকদের বক্তব্য শুনে তাদের কঠোরতা কমে আসে। ব্যারিকেড ধরে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষকদের দাবি শুনতে থাকে পুলিশ। শিক্ষকরা দাবি আদায়ে স্লোগানও দিচ্ছিলেন। শিক্ষকদের পক্ষ থেকে এ সময় আইন মন্ত্রণালয়ের একটি চিঠির প্রসঙ্গ টানা হয়, যেখানে আসিফ নজরুল সই করেছেন।
এ সময় আরেক শিক্ষক বলেন, আমরা পুলিশ ভাইদের বলতে চাই, হাই কোর্টের রায় আমাদের পক্ষে। আপনারা কি হাই কোর্টের রায় মানবেন না? যদি মেনে থাকেন, তাহলে আমাদের কথা শুনুন। আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে আমাদের প্রস্তাবনা পেশ করতে চাই। এখন আপনারা কি আমাদের এভাবে যেতে দেবেন, নাকি কোনো ব্যবস্থা করে দেবেন- এটা আপনাদের সিদ্ধান্ত। একপর্যায়ে পুলিশ শিক্ষকদের প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে সরিয়ে দেয়। সেখানেও শিক্ষকরা স্লোগান অব্যাহত রাখেন।
উল্লেখ্য, শিক্ষাক্ষেত্রে বিরাজমান সরকারি-বেসরকারি বৈষম্যদূরীকরণের লক্ষ্যে ঈদুল আজহার আগেই শতভাগ উৎসব ভাতা, পূর্ণাঙ্গ বাড়ি ভাড়াসহ শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষকরা আন্দোলন করছেন। ডিএমপির রমনা বিভাগের ডিসি মো. মাসুদ আলম জানান, কয়েকজন শিক্ষক প্রতিনিধি সচিবালয়ে দেখা করেন এবং ঘটনাস্থল থেকে তারা চলে যান।