বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ ভাষা আন্দোলনে জীবন দিয়েছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে, ’৯০-এর ছাত্র আন্দোলনে, ২৪-এর জুলাই-আগস্টের আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগ্রামে জীবন দিয়েছেন। এত জীবন দেওয়ার পর এখনো অসঙ্গতি নিয়ে আলোচনা হয়, এটা কেন হবে? মানুষ আর কত জীবন দেবে।
গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ কতটুকু সুরক্ষা দেয়?’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। নাগরিক ঐক্য আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থ সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া প্রমুখ।নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রধান সমন্বয়ক আকরাম হুসাইন প্রমুখ।
নজরুল ইসলাম খান আক্ষেপ করে বলেন, আর কত জীবন দেবে এ দেশের মানুষ, আর কত লড়াই করবে। মানুষ প্রাইমারি স্কুল থেকে হাই স্কুলে উঠে, হাই স্কুল থেকে কলেজে যায়, কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যায়, আস্তে আস্তে মানুষ উন্নত হয়। আস্তে আস্তে মানুষের ইতিবাচক পরিবর্তন হয়। আর আমরা বারবার যেন সাপ-লুডুর মতো অনেক দূর এগিয়ে যাই, আবার সাপে কেটে নিচে চলে আসি, আবার আগানোর চেষ্টা করি, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, আমাদের দেশে শ্রম আইনে আছে-প্রত্যেক শ্রমিককে নিয়োগপত্র দিতে হবে। অথচ আমাদের দেশে যত শ্রমিক আছেন তার ২০-২৫ শতাংশ শ্রমিককও নিয়োগপত্র পান না। তাদের গ্র্যাচুইটি, সুবিধা তার কোনোটাই দেওয়া হয় না। যা শ্রম আইনে লেখা আছে। যারা শ্রমিককে কম মজুরি দেয় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি বা অভিযোগ দেওয়ার কোনো প্রক্রিয়া নেই।