রাজধানীর খিলগাঁও থানায় ১১ বছর বয়সি এক শিশুর বিরুদ্ধে চুরির মামলা নেওয়ায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দাউদ হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিস (শোকজ) দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট থানার উপপরিদর্শক মো. সাখাওয়াত হোসেনকেও শোকজ করা হয়েছে। বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মো. গোলাম কবির এ শোকজ দেন। গতকাল সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. সাজ্জাদ হোসেন সবুজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে খিলগাঁও থানার ওসি ও সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করার জন্য নোটিসে বলা হয়েছে।
জানা যায়, ২৭ মে খিলগাঁও থানাধীন গোড়ান মাজার গলিতে বাপ্পি পরিবহন নামক গ্যারেজে একটি মোবাইল চুরির ঘটনায় একটি মামলা করা হয়। গ্যারেজের কর্মচারী শুকুর আলী (২৪) বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন-খিলগাঁও এলাকার বাসিন্দা মোহনা (১৫), শাহানা (২৩), নিলুফা (২২) ও রুমা (১১)। তাদের সবার স্থায়ী ঠিকানা হবিগঞ্জ জেলার লাখাই থানার বোল্লা গ্রামে। এদের মধ্যে ১১ বছর বয়সি শিশু রুমাকে আসামি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করায় থানার ওসি ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিস (শোকজ) দেওয়া হয়েছে।
কারণ দর্শানোর নোটিসে উল্লেখ করা হয়, কারাগারে আটক রাখার আবেদনে শিশু ‘রুমা’র বয়স ১২ উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে এজাহারে তার বয়স ১১ বছর বলা হয়েছে। ১৮৬০ সালের দ বিধি আইনের ৮৩ ধারা অনুযায়ী, ৯ থেকে ১২ বছর বয়সি শিশুর দ্বারা সংঘটিত অপরাধ অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না, যদি সে তার কার্যক্রমের প্রকৃতি ও পরিণতি বুঝবার মতো পরিপক্বতা অর্জন না করে। রুমা নামক শিশুর বয়স এজাহারে ১১ বছর উল্লেখ রয়েছে। কেন তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হলো? কেন থানায় কর্মরত শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা দিয়ে প্রয়োজনীয় মূল্যায়ন ও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি?