রাজধানীর পান্থকুঞ্জ উদ্যান জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে গতকাল রায় দিয়েছেন গণ আদালত। একই সঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে জনসাধারণের অবাধ প্রবেশ ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেন। বাংলাদেশ গাছরক্ষা আন্দোলন ‘পান্থকুঞ্জ মোকদ্দমা : জনগণ বনাম অন্তর্বর্তী সরকার’ শীর্ষক এ গণশুনানির আয়োজন করে। পান্থকুঞ্জের গাছ কেটে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের (দ্রুতগতির উড়ালসড়ক) র্যাম্প নির্মাণ বন্ধের দাবিতে গাছরক্ষা আন্দোলনের কর্মীরা আন্দোলন করে আসছিলেন। এরই অংশ হিসেবে গণ আদালত পরিচালনা করে এ গণশুনানির আয়োজন করা হয়। এ সময় বাদীপক্ষ উপস্থিত থাকলেও বিবাদীপক্ষে কেউ ছিলেন না। বিবাদীরা হলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সচিব, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, সেতু বিভাগের নির্বাহী পরিচালক (সচিব), পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং সাপোর্ট টু ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্প পরিচালক।
বাদীপক্ষের প্রসিকিউটরের ভূমিকা পালনকারী গাছরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আমিরুল রাজীব আদালতকে জানান, বিবাদীপক্ষকে রেজিস্ট্রি ডাক, ইমেইল ও সমাজমাধ্যমে গণশুনানিতে হাজির থাকার জন্য জানানো হলেও তাঁরা এ আবেদনে সাড়া দেননি। এজলাসে পাঁচ সদস্যের বিচারকম লীর প্রধান ছিলেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য গীতি আরা নাসরিন। অন্য সদস্যরা হলেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান, প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষা মঞ্চের আহ্বায়ক জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এবং জুলাই শহীদস্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সামসি আরা জামান।