চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারমুখি প্রবাল এক্সপ্রেসের ট্রেনের যাত্রা বাতিল করায় বিক্ষোভ করেছে যাত্রীরা। এসময় স্টেশন মাস্টার ও স্টেশন ম্যানেজারের কক্ষের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা বিক্ষোভ করে ভাঙচুর করে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন এ ঘটনা ঘটে। রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, বাতিল না করে যদি ট্রেন চালাতে হতো তাহলে সেই ট্রেন কক্সবাজার পৌঁছাত রাত ১১টায়। তখন কক্সবাজার স্টেশনে আরেক ঝামেলার পরিস্থিতি তৈরি হতো। এসব বিবেচনায় ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, সকালে ট্রেন যাত্রা দেরি করে কক্সবাজার গেছে। ফিরতি ট্রেন আড়াইটার সময় চট্টগ্রামে আসার কথা থাকলেও এসেছে ৫ টার পরে। যার কারণে দুপুরের পরপরই যাত্রীদের মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে সন্ধ্যার প্রবাল এক্সপ্রেস যাত্রা বাতিল করার বিষয়টি। এই ট্রেনে প্রায় ৮শ’ যাত্রী যাতায়াত করলেও বাতিল ঘোষণার প্রেক্ষিতে সবাই চলে যান। কিন্তু ১০-১৫ জন বিক্ষোভ করে এবং উচ্ছৃঙ্খল করে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ে এনেছে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম থেকে প্রবাল এক্সপ্রেস বেলা ৩টা ১০ মিনিটে কক্সবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে ট্রেন কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম স্টেশনে এসে পৌঁছায় বিকেল পাঁচটার পর। এরপর এই ট্রেন প্রবাল এক্সপ্রেস হয়ে কক্সবাজারে যায়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের অনেক দেরিতে আসায় কক্সবাজারগামী প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। একে তো দেরিতে ট্রেন এসেছে, এরপর আবার যাত্রা বাতিল করা হয়। এই দুই কারণে যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এরপর স্টেশন ম্যানেজার ও মাস্টারের রুমের সামনে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে যাত্রীদের বাগ্বিতন্ডা হয়।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল