বগুড়ায় টানা বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে সবজির বাজারে। ফসলের খেত নষ্ট হওয়ার ফলেই কমেছে সরবরাহ। এদিকে চালের বাজারে নতুন করে দাম না বাড়লেও আগের উচ্চমূল্যেই বিক্রি হচ্ছে। প্রায় দেড় মাস ধরে উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে চাল। বাজারে মোটা চাল ৬০-৬৫, কাটারিভোগ ৭৫-৭৮, মিনিকেট ৭০-৭৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। নাজিরশাইল আগে ৭৫ টাকায় বিক্রি হলেও কয়েক দফায় বেড়ে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগির দামে খানিকটা স্থিতিশীলতা থাকলেও বেড়েছে সোনালি জাতের মুরগির দাম। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা।
তবে সোনালির দাম বেড়ে ৩২০-৩৩০ টাকা হয়েছে। কয়েক দিন আগেও যা বিক্রি হয়েছে ২৮০-৩০০ টাকায়। এদিকে ফার্মের মুরগির ডিমের দামও বেড়েছে। প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়; যা কয়েক দিন আগে ৪০ টাকার মধ্যে ছিল। গতকাল বগুড়ার রাজাবাজার, ফতেহ আলী বাজার, কলোনি, খান্দার, বকশিবাজারসহ বেশ কিছু বাজার ঘুরে দেখা যায়, শুধু আলু ছাড়া সব ধরনের সবজির দাম বাড়তি। হঠাৎ এমন পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। বেগুনের দাম বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। বৃষ্টির আগে ছিল ৪০-৫০ টাকা। সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে বাজারে সরবরাহ কমে গেছে। বৃষ্টির কারণে জমিতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ফসল তুলতে না পারার কারণে এ সংকট তৈরি হয়েছে। আর চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ ঘাটতির কারণে কোনো কোনো সবজির দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।