বর্তমান চাকরির বাজারে উন্নতি করতে ব্শে কিছু দক্ষতা ও গুণাবলির প্রয়োজন হয়। ক্যারিয়ার নিয়ে পরিবার,আত্মীয়স্বজন থেকে শুরু করে আশেপাশের অনেকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকেন। অনেকে চাকরির সাফল্য নিয়ে দেন বিভিন্ন উপদেশ।
এক্ষেত্রে কিছু কিছু পরামর্শ কার্যকর হয়। তবে কিছু জনপ্রিয় উপদেশ অন্ধভাবে মেনে চললে তা উল্টো আপনার পেশাগত অগ্রগতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। যা হতাশার সৃষ্টি করতে পারে। ক্যারিয়ারের সাফল্য এনে দিতে এমন কিছু ক্ষতিকর পরামর্শ এড়িয়ে চলুন।
কঠোর পরিশ্রমই সাফল্যের চাবিকাঠি
জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফল হতে হলে কঠার পরিশ্রমের বিকল্প নেই। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করে যেতে হবে। তবে কঠোর পরিশ্রম জরুরি, কিন্তু একা তা যথেষ্ট নয়। সঠিক পরিকল্পনা, বুদ্ধিদীপ্ত কাজের কৌশল এবং পেশাগত নেটওয়ার্ক বাড়াতে হয়। শুধু রাত জেগে কাজ করলেই সাফল্য ধরা দেয় না, প্রয়োজন সঠিক দিকনির্দেশনা।
সবকিছু একা সামলানো
সবকিছু একা সামলানোর চেষ্টা প্রায়ই ক্লান্তি ও বিরক্তির কারণ হতে পারে। আধুনিক কর্মক্ষেত্রে টিমওয়ার্ক ও সহযোগিতা অপরিহার্য। তাই প্রয়োজনে সাহায্য চাইতে দ্বিধা করবেন না। এটি দুর্বলতা নয়, বরং কাজকে সহজ করে দেয়। একইসাথে অফিসের সহকর্মীদের সাথে হৃদ্যতা বাড়াতে সহায়তা করে।
চাকরি ছেড়ে ব্যবসা শুরু করা
উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন অনেকের থাকে। কিন্তু এই স্বপ্ন সবার জন্য নয়। ব্যবসা শুরুর আগে পুঁজি, বাজার বিশ্লেষণ, অভিজ্ঞতা এবং ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা যাচাই করা জরুরি। হঠাৎ করে চাকরি ছেড়ে দেওয়া অনেক সময় বড় ধরনের আর্থিক ও মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
প্যাশন অনুসরণ করলেই সফলতা নিশ্চিত
শুনতে দারুণ অনুপ্রেরণামূলক হলেও বাস্তবতা ভিন্ন। শুধু প্যাশনের পেছনে দৌড়ালে তা সব সময় আর্থিক নিরাপত্তা বা দীর্ঘমেয়াদি সন্তুষ্টি দেয় না। দক্ষতা, বাজারের চাহিদা ও অর্থনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনা না করলে হতাশা আসতে পারে। তাই প্যাশনের সঙ্গে বাস্তবতার মেলবন্ধন করাটাই আসল বুদ্ধিমত্তা।
সুযোগ লুফে নিতে হবে
শুরুতে মনে হতে পারে, যত বেশি সুযোগ নেবেন তত ভালো। কিন্তু অপ্রাসঙ্গিক সুযোগ গ্রহণ করলে সময় ও শক্তি নষ্ট হয়, মনোযোগ ভেঙে যায়। বরং লক্ষ্য ও দক্ষতার সঙ্গে মিলিয়ে বেছে নেওয়া সুযোগের ওপর মনোযোগ দিন। না বলতে শেখাও পেশাগত সাফল্যের এক গুরুত্বপূর্ণ কৌশল।
কিছু কিছু ছোট ছোট সিদ্ধান্ত ও পরামর্শ আপনার ক্যারিয়ারকে বদলে দিতে পারে। তবে প্রচলিত সব পরামর্শ সঠিক নাও হতে পারে। সাফল্যের পথে হাঁটার সময় নিজের ব্যক্তিগত পছন্দ, সামর্থ্য, দক্ষতা এবং দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিন।
সঠিক পথ অনুসরণ করে নিজেকে এগিয়ে নিতে পারেন। যা আপনার ক্যারিয়ার সঠিক পথ খুঁজে দিতে সহায়তা করবে।
বিডি প্রতিদিন/কামাল