পাহাড় যেনো এখন উৎসবের নগরি। কঠিন চীবরদানের উৎসব শেষ। কিন্তু শেষ হয়নি আমেজ। কারণ এখনো চলছে জগদ্ধাত্রী পূজা। ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের সাথে চলছে মেলা। মেলাতে বাঁশির সুর যেমন মানুষের মন কেড়েছে। তেমনি হরেক রকম সামগ্রির দোকানও আকর্ষণ করছে দর্শনার্থীদের। এরই মধ্যে রাঙামাটিতে জমে উঠেছে জগদ্ধাত্রী পূজার মেলা। শহরের কোর্ট বিল্ডিং এলাকা থেকে বনরূপা পর্যন্ত টানা দিনব্যাপী চলছে এ পূজার মেলা। মেলাকে ঘিরে আনন্দে উচ্ছ্বসিত স্থানীয়রা।
দিনব্যাপী মেলাস্থলে মানুষের উপস্থিতিতে যেন তিল পরিমাণ জায়গা খালি নেই। ক্রেতাদের চাহিদা অনুসারে মেলাকে সাজিয়েছে বিক্রেতারা। ছোটদের খেলনা, নারীদের রান্নার সামগ্রী, কসমেটিকস, শাড়ি চুরিসহ নানান কিছু। ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী ও বাঙালীদের উপস্থিতিতে যেনো মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। রাঙামাটি শহরের ২০০টির অধিক স্টল বসেছে। প্রতিটি স্টলে রাখা হয়েছে ভিন্ন সামগ্রী। জামা কাপড়, শাড়ি চুরি, বাচ্ছাদের খেলানা, ঘর সাজানোর জিনিসপত্র বেশি আকর্ষণ করছে দর্শনার্থীদের। তবে শৃঙ্খলা ধরে রাখতে রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসেছে পুলিশের বিশেষ নজরদারি।
মেলায় ঘুরতে আসা সাদিয়া জানায়, রাঙামাটি শহরে বছরে একবারই বসে মেলা। সেটা হচ্ছে এ জগদ্ধাত্রী পূজার মেলা। এ মেলায় শুধু হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা নয়, মুসলিম, বৌদ্ধসহ সব সম্প্রদায়ের নারী পুরুষের উপস্থিতি থাকে মেলায়। এটা দেখতে অনেক ভালো লাগে।
একই কথা জানালেন মেলার আর এক দর্শনার্থী মাহিয়া জান্নাত। তিনি বলেন, রাঙামাটি পাহাড়ি অঞ্চল হওয়াতে এখানে সব সময় মেলা বসেনা। তবে চীবরদান ও জগদ্ধাত্রী পূজার মেলাটা পুরো রাঙামাটি আনন্দ তৈরি করে। মেলায় কমদামে হরেক রকম জিনিস পাওয়া যায় এটাই বেশি ভাল লাগে।
তবে যেহেতু নারী পুরুষের ঢল থাকে নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়ন করেছে রাঙামাটি পুলিশ সুপার।
এ ব্যাপারে রাঙামাটি পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন বলেন, আমরা চেষ্টা করছি রাঙামাটিতে শৃঙ্খলাভাবে মেলাটা যেনো শেষ হয়। মেলা চলাকালিন কোথাও যেনো কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন