নিম্নচাপের প্রভাবে টানা ক’দিনের বৃষ্টিতে নীলফামারীতে আগাম আলু-সবজিসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। হেলে পড়েছে পাঁকা ও আধা পাঁকা ধান। পানিতে তলিয়ে গেছে কিছু আগাম আলু ও সবজি ক্ষেত। এতে ব্যাপক পরিমাণ ক্ষতির আশংকা করছে কৃষকরা।
গত ক’দিনের টানা হালকা, মাঝারি ও ভারি বৃষ্টিতে নিচু জমির আগাম আলু, সবজি খেতে পানি জমেছে। এতে আলু বীজে পচন ও সবজি ক্ষেত নষ্ট হতে পারে। অপর দিকে বিস্তৃণ এলাকা ব্যাপি ধান ক্ষেত হেলে পড়েছে। এতে কৃষকরা ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশংকা করছে।
কিশোরগঞ্জ উপজেলার উত্তর দুরাকুটি গ্রামের কৃষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, উঁচু জমিতে তেমন ক্ষতি হবে না। তবে নিচু জমির আলু, সবজি খেতের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এছাড়া যে সব ধান ক্ষেতে ফুল ধরেছে এসব ক্ষেতে ব্যাপক ক্ষতি হবে। ফলে আমরা ফসলে ব্যাপক ক্ষতি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছি।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে নীলফামারী জেলায় প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে।
নীলফামারী জেলার কৃষকরা ইতোমধ্যে আমন ধান কাটার পর ৫,৫৬৫ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির বীজ বপন করেছেন। সারা বছর সবজি চাষের জন্য উঁচু জমিতে বিভিন্ন জাতের সবজি যেমন ফুলকপি, পাতা কপি, শিম, লাউ ইত্যাদি চাষ করা হয়।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার লোকমান আলম জানান, এখন পর্যন্ত তেমন ক্ষতির আশংকা নেই। তবে নিচু জমির আলু ও হেলে পড়া ধান ক্ষেতে ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে। ফুল ধরা ধান ক্ষেতে ক্ষতি হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩০ হেক্টর ধান ক্ষেত ক্ষতি হয়েছে। তবে বৃষ্টি হলে আলু, সবজি ও ধানে ব্যাপক ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে।
নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মনজুর রহমান বলেন, “নিম্নচাপের প্রভাবে জেলার বিভিন্ন এলাকায় মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া হয়েছে। কিছু এলাকায় ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা কৃষকদের দ্রুত পানি নিষ্কাশন, নুয়ে পড়া ধানগাছ বাঁধা এবং অতিরিক্ত পানি জমতে না দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। আবহাওয়া অনুকূলে এলে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব।”
বিডি প্রতিদিন/এএম