চট্টগ্রাম বন্দরে দেখা দিয়েছে বড় ধরনের কনটেইনার জট। গতকাল সোমবারের তথ্য অনুযায়ী, ৫৩ হাজার ৫১৮ টিইইউএস (২০ ফুট সমমান) ধারণক্ষমতার বিপরীতে কনটেইনার ছিল ৪৮ হাজার ৪৯৪ টিইইউএস। এর আগের দিন ছিল আরও বেশি, ৪৯ হাজার ১৩১ টিইইউএস। সক্ষমতা এখনো অতিক্রম না করলেও এ সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। এত বিপুলসংখ্যক কনটেইনার জমা হওয়ার নজির নিকট অতীতে নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সাধারণত ঈদের লম্বা ছুটি বা হরতাল-ধর্মঘটে কনটেইনারের জট দেখা দেয়। বর্তমানে এ ধরনের কোনো পরিস্থিতি না থাকা সত্ত্বেও দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরকে জটের কবলে পড়তে হয়েছে।
ইয়ার্ডে কনটেইনারের সংখ্যা ধারণক্ষমতার কাছাকাছি গেলে বা অতিক্রম করলে জাহাজ থেকে নতুন কনটেইনার নামিয়ে রাখার জায়গা থাকে না। কনটেইনার খালাস করতে না পারলে জাহাজ অতিরিক্ত সময় বন্দরে অবস্থান করতে হয়। এতে লোকসান গুণতে হয় আমদানিকারক ও শিপিং এজেন্টদের। বন্দর সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে খালি কনটেইনার স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেড়ে যাওয়া, বেসরকারি ডিপোগুলোতে কনটেইনারের সংকুলান না হওয়া ও আমদানি কনটেইনার ডেলিভারিও কমে যাওয়ায় জট তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া শুক্র ও শনিবার বন্ধের দিন আমদানিকারকরা অল্পসংখ্যক কনটেইনার ডেলিভারি নিচ্ছেন।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘কনটেইনারের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। এর ফলে বন্দরের ভিতরে কনটেইনার চলাচল এবং জাহাজে পণ্য ওঠানো-নামানোর কাজে কিছুটা ধীরগতি তৈরি হয়েছে। তবে বন্দরের কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার মতো পরিস্থিতি এখনো হয়নি। সমস্যা সমাধানে আমরা বন্দর ব্যবহারকারীদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছি। আশা করছি, সহসাই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’ বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন বলেন, ‘বন্দরের বাইরে বে-টার্মিনালে খালি কনটেইনার রাখার বিকল্প ব্যবস্থা করা যায়। এ ছাড়া শুক্র ও শনিবার ডেলিভারির গতি বাড়াতে কাস্টমস ও ব্যাংকিং কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে।’