দেশে মাতৃত্বকালীন ছুটির পাশাপাশি পিতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, ‘মাতৃত্বকালীন ছুটির সঙ্গে পিতৃত্বকালীন ছুটির কথা বলা হচ্ছে। জানি না, পিতৃত্বকালীন ছুটির দরকার আছে কি না, যদি দিতে হয়, তাহলে বাবারও শিশুকে সময় দিতে হবে। বাবারা শিশুদেরকে ঠিকমতো সময় প্রদান করলে পিতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়া যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘মায়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকলে শিশু দুধ পাবে। দেশে দারিদ্র্যের হার বেশি, সরকারি হিসাবে কোথাও ২০, আবার কোথাও ২৫ শতাংশ। বেসরকারি হিসাবে আরও বেশি। অনেক মা ঠিকমতো পুষ্টিকর খাবার খেতে পারেন না। করোনার পর থেকে শিশুরা স্কুল থেকে ঝরে পড়ছে এবং বাল্যবিয়ের হারও বেড়ে গেছে। আগে যা-ও নিয়ন্ত্রণে ছিল, এখন তা-ও নেই।’
এদিকে স্বাস্থ্য শিক্ষার সচিব ডা. সারোয়ার বারী বলেন, ‘অনেক দেশেই পিতৃত্বকালীন ছুটি আছে। আমরাও চিন্তাভাবনা করছি, প্রস্তাবনা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। অন্তত চার সপ্তাহের পিতৃত্বকালীন ছুটির ব্যবস্থা করা যায়।’ এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ডা. এস কে রায় ও জেনারেল সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. সারিয়া তাসনিম।