বগুড়ার বাজারে সবজির সরবরাহ থাকলেও কমছে না দাম। বৃষ্টির অজুহাতে বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। প্রতি বছর এ জেলার কৃষকরা সবজি চাষে বাম্পার ফলন পেলেও এবার তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। কৃষকরা বলছেন, বীজ, সার ও কীটনাশকের চড়া দাম হওয়ায় তারা সবজির আবাদে আগ্রহ হারাচ্ছেন। এ ছাড়া কিষান-কিষানির মজুরি অনেক বেশি। গত বছর এ সময়ে শীতকালীন সবজিতে খেতের মাঠ ভরে গেলেও এবার তা হয়নি। এদিকে বগুড়ার সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, কয়েক দিনের বৃষ্টিতে খেতের ফসল নষ্ট হওয়ায় প্রভাব পড়েছে কাঁচা বাজারে। তবে চাষিরা আগাম শীতকালীন সবজি চাষ শুরু করেছেন। অল্প দিনের মধ্যে সবজির দাম কমে আসবে। জানা গেছে, কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বগুড়ার বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। প্রতিটি সবজি কেজিতে দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। সঙ্গে দীর্ঘদিন নিম্নমুখী থাকা ফার্মের মুরগির ডিমের দামও বাড়তি। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম না বাড়লেও সোনালি জাতের মুরগির দাম বেড়েছে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। সবজির চড়া দাম হওয়ায় বাজারে গিয়ে ক্রেতারা হতাশা প্রকাশ করছেন। গতকাল বগুড়ার রাজাবাজার, ফতেহ আলী বাজার, কলোনি, খান্দার ও বকশীবাজারসহ বেশ কিছু বাজার ঘুরে দেখা যায়, শুধু আলু আর পেঁপে ছাড়া সব ধরনের সবজির দাম বাড়তি। এমন পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
বাজারে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা কেজি, শসা ৬০ টাকা, পিঁয়াজের দাম বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। করলা ৮০ টাকা, আলুর দাম বেড়ে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা যায়। দেশি আদা প্রতি কেজি ২০০ টাকা ও রসুন ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া টম্যাটো ও গাজর প্রতি কেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারেও বাড়তি দামে সব ধরনের মাছ বিক্রি হতে দেখা যায়। দেড় থেকে দুই কেজি ওজনের রুই মাছ প্রতি কেজি ৩৬০ টাকা, তিন কেজি ওজনের কাতল মাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, আড়াই কেজি ওজনের সিলভার কার্প মাছ ২৫০ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়। এ ছাড়া চিংড়ির কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, টেংরা মাছ ৪০০ থেকে ৬০০, পাবদা আকারভেদে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। বাজারে ইলিশ মাছের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও দাম বেশ চড়া।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, প্রায় এক মাস থেকে দেড় মাস ধরে সবজির বাজার বেশ চড়া। দর বৃদ্ধির জন্য সাম্প্রতিক বৃষ্টিকে দায়ী করছেন তারা। বর্ষায় সবজির খেত নষ্ট হয়েছে। দর বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা অস্বস্তিতে রয়েছেন।