রেলওয়ের দুর্ঘটনার হটস্পট হয়ে উঠেছে রংপুরের পীরগাছা ও এর আশপাশের স্টেশনগুলো। গত আট দিনে তিনটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। সংস্কারবিহীন পুরাতন রেললাইন, পুরাতন ইঞ্জিন, সমন্বয়হীনতাসহ নানা কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন হলেও তদন্ত রিপোর্ট আলোর মুখ দেখছে না। ঘন ঘন দুর্ঘটনার কারণে ওই পথের ট্রেন যাত্রীরা আতঙ্কের মধ্যে যাতায়াত করছেন।
জানা গেছে, গতকাল সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লালমনিরহাট এক্সপ্রেস ট্রেনটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে পীরগাছার সামনের স্টেশন অন্নদানগরে। এর পরে লালমনিরহাট থেকে উদ্ধারকারী দল এসে অন্য ইঞ্জিন লাগিয়ে ৮টা ৪৫ মিনিটে ট্র্রেনটি পুনরায় লালমনিরহাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। প্রায় ২ ঘণ্টা লালমনিরহাট এক্সপ্রেসের যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। এ সময় দুই নম্বর লাইন দিয়ে অন্য ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অন্নদানগর স্টেশন মাস্টার বাবলু মিয়া। গত ১৯ সেপ্টেম্বর পীরগাছা রেলওয়ে স্টেশনের আউট পয়েন্টে লাইনচ্যুত হয়েছে সান্তাহার থেকে ছেড়ে আসা লালমনিরহাটগামী পদ্মরাগ এক্সপ্রেস ট্রেনের ছয়টি বগি। ওই দিন দুপুর ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনার পর থেকে সান্তাহার-লালমনিরহাট রুটে সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন শত শত যাত্রী। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে লালমনিরহাট রেল ডিভিশন চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
প্রায় ৯ ঘণ্টা পর ওই রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর তিন দিন আগে পীরগাছায় অল্পের জন্য মুখোমুখি সংঘর্ষের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে যাত্রীবাহী দুটি ট্রেন। সান্তাহারগামী দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেনটি পীরগাছা রেলস্টেশনে হোম সিগন্যাল অতিক্রম করে ২ নম্বর লাইনে প্রবেশ করতে থাকে। ট্রেনটি প্রবেশকালে বিপরীত দিক থেকে আসা লালমনিরহাটগামী পদ্মরাগ কমিউটার ট্রেনটি সিগন্যাল ওভারশুট করে একই লাইনে প্রবেশ করতে থাকে। এ সময় পদ্মরাগের লোকোমাস্টার বিষয়টি বুঝতে পেরে ট্রেনটিকে দ্রুত পুশব্যাক করে ১ নম্বর লাইনে প্রবেশ করান। এতে জানমাল ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায় ট্রেন দুটি।