কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বিদেশ-ফেরত ৩৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ২৯ জন পুরুষ এবং পাঁজন নারী। ভৈরব পৌর ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সহকারীদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনের পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক তাদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, ৯ মার্চ ভৈরবে প্রথমে ১১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। গতকাল রাখা হয় ১৩ জনকে। আর বুধবার রাখা হয়েছে ১০ জনকে। প্রত্যেকের বাড়ির পৃথক কক্ষে তাদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে থাকবেন।
এই সময় তাদের বাইরে চলাফেরা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মেলামেশা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদেরও চলাফেরা সীমিত করা হয়েছে। বিশেষ করে পরিবারের সদস্যদের নিজ ঘর ও আঙিনা পর্যন্ত চলাফেরা সীমাবদ্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এ আদেশের কোনো ব্যত্যয় ঘটছে কি না, স্বাস্থ্য সহকারীরা সে বিষয়টা নজর রাখছেন। জনপ্রতিনিধি ও সমাজসচেতনদেরও এই কাজে সম্পৃক্ত করা হয়েছে।
এদিকে বুধবার থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির ব্যবস্থাপনায় ৫০ শয্যার একটি আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত করা হয়েছে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন স্থানে নির্মাণাধীন ট্রমা সেন্টারে আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়েছে। করোনাভাইরাসের ঝুঁকি আছে, এমন লোকজনকে আইসোলেশন ইউনিটে রাখা হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুবনা ফারজানা এবং সদস্য সচিব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদের নেতৃত্বে ৫০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত করা হয়েছে।
ডা. বুলবুল আহমেদ বলেন, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের বেশির ভাগই ইতালি থেকে আসা। তাদের বিষয়ে আমাদের নির্দেশনা হল, সবাইকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ঘরের নির্দিষ্ট কক্ষে থাকতে হবে। তবে তাদের কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়নি।
ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা ফারজানা জানান, হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা সবাই বিদেশ ফেরত। হাসপাতাল থেকে স্বাস্থকর্মীর মাধ্যমে তাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ রাখা হচ্ছে। ঢাকায় আইইডিসিআর এ প্রতিদিনই আপডেট পাঠানো হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন