বাগেরহাটের শরণখোলায় করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে আ. আউয়াল হাওলাদার (৬৪) নামের এক রোগীকে উপজেলা সরকারী হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে রাখা হয়েছে। এই রোগী ছাড়াও করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে জেলায় আরও ৪ প্রবাসীকে হোম কোয়ারেইন্টাইনে রাখা হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির জানান, এগারো দিন আগে ভারত থেকে গোপনে নিজ বাড়ি ফিরে আসা শরণখোলা উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের নলবুনিয়া গ্রামের আ. আউয়াল হাওলাদার (৬৪) জ্বর, সর্দি-কাশি ও গলা ব্যাথাসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসে। রবিবার দুপুরে উপজেলা হাসপাতালে আসার পর হটলাইনে মহাখালীর রোগত্বত্ত নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে যোগাযোগ করলে তারাও আ. আউয়ালকে আইসোলেশন সেন্টারে রাখার নির্দেশ দেন। দ্রুত এই রোগীকে হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে রাখা হয়। আইইডিসিআরের নির্দেশনা অনুযায়ী ওই রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী তাকে ঢাকায় পাঠানো হতে পারে। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে জেলায় আরো ৪ প্রবাসীকে হোম কোয়ারেইন্টাইনে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে এই রোগী শরণখোলা হাসপাতালে আইসোলেশন সেন্টারে রাখার পর হাসপাতাল ছেড়েছে সাধারণ রোগীরা। ফলে রোগী শুণ্য হয়ে পড়েছে শরণখোলা সরকারী হাসপাতাল। তবে, অহেতুক আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্য সচেতন হতে বলেছেন বাগেরহাটের সিভিল সার্জন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল