২৮ জানুয়ারি, ২০২২ ১২:১৬

কুষ্টিয়ায় নতুন করে আরও ২১৩ জনের করোনা শনাক্ত

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় নতুন করে আরও ২১৩ জনের করোনা শনাক্ত

ফাইল ছবি

ভারত সীমান্তবর্তী করোনার রেড জোন কুষ্টিয়া জেলাতে এখন প্রতিদিনই করোনা শনাক্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে।  প্রতিদিনই শনাক্তের রেকর্ড আগের দিনের রেকর্ডকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। এবার একদিনে এ জেলায়  ৫২১ জনের নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে ২১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৪০ দশমিক ৮৮ শতাংশ। যা গত সাড়ে পাঁচ মাসের মধ্যে শনাক্তের রেকর্ড বলে জানা গেছে। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় ১৯ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন। 

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যানুযায়ী দেখা যায়, গত এক সপ্তাহে (২১ জানুয়ারি থেকে ২৭ জানুয়ারি) পর্যন্ত  এ জেলায় নতুন করে ৬৪৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। অথচও এর আগের সপ্তাহে মাত্র ১৬৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। আর তার আগের সপ্তাহে এখানে মাত্র ৫৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। পরিসংখ্যান থেকে সহজেই বোঝা যাচ্ছে যে, কুষ্টিয়া জেলায় কত দ্রুত করোনা সংক্রামণ ছড়িয়ে পড়ছে। ইতোমধ্যেই করোনার ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের জন্য কুষ্টিয়াকে উচ্চঝুঁকিপূর্ণ জেলা হিসেবে ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গেল ডেল্টা ভেরিয়েন্টের সময়ও কুষ্টিয়াতে করোনা সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ নিয়েছিলো। 

এখন পর্যন্ত শুধু কুষ্টিয়া জেলাতেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৭৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর কুষ্টিয়া জেলায় ১৯ হাজার ৯৬৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ হাজার ১৬২ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন। জেলায় এখন পর্যন্ত ১ লাখ ২৬ হাজার ১৩৪ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়া গেছে ১ লাখ ২০ হাজার ৯৭৮ জনের। বর্তমানে হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৩ জন রোগী। হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ৯৮৮ জন। আর বর্তমানে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হচ্ছে ১ হাজার ১১ জন।  

কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডাক্তার এ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জেলায় করোনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার কথা স্বীকার করে বলেন, যেভাবে করোনা শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে সামনে হয়তো আমাদেরকে চরম খারাপ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। জনসাধারণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবাণতা একেবারেই না থাকার কারণে এ জেলায় দ্রুত করোনা ছড়িয়ে পড়ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। 

তিনি জানান, মাস্ক না পরেই অধিকাংশ মানুষ শহরে, হাটে, গ্রামে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করছেন। এদিকে করোনার গ্রাফ প্রতিদিনই চরম ঊর্ধ্বমুখী হলেও জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগ এখনও দৃশ্যমান নয়। জেলা প্রশাসন কর্তৃক এ সংক্রান্ত অভিযান বা প্রচার-প্রচারণা কোন কিছুই চোখে পড়ছে না। 

সিভিল সার্জন জানান, বর্তমানে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে করোনার জন্য ৫০টি বেড রাখা হয়েছে। তবে করোনা যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে এ অবস্থা চলতে থাকলে হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য বেডের সংখ্যা বৃদ্ধি করা এমনকি পূর্বের মত এই হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা দেয়া লাগতে পারে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

 

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

সর্বশেষ খবর