যুক্তরাজ্যে প্রস্থানপূর্বক ২০১৮-২০১৯ সেশনে কমনওয়েলথ বৃত্তিপ্রাপ্ত ও ফেলোদের জন্য যুক্তরাজ্যের কমনওয়েলথ স্কলারশিপ কমিশনের (সিএসসি) পক্ষে ব্রিফ অধিবেশনের আয়োজনে করে ব্রিটিশ কাউন্সিল। সম্প্রতি ব্রিটিশ কাউন্সিলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার মিলনায়তনে এ ব্রিফিং অধিবেশনটি অনুষ্ঠিত হয়।
সারাদেশ থেকে ৬০ জন মেধাবী কমনওয়েলথ বৃত্তিপ্রাপ্ত তরুণ ও ফেলোর অংশগ্রহণে অধিবেশনটি পরিচালনা করেন ব্রিটিশ কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক এবং উচ্চশিক্ষা প্রধান (সিএসএফপি) তৌহিদুর রহমান। ব্রিফিং অধিবেশনটিতে ১০ জন কমনওয়েলথ অ্যালামনাইও উপস্থিত ছিলেন।
অধিবেশনে বৃত্তিপ্রাপ্তদের ভিসা ইস্যু করা, থাকার ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যগত সুবিধা এবং খাবার সংক্রান্ত বিষয়ে সকল তথ্য ও পরামর্শ প্রদান করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান কমনওয়েলথ অ্যালামনাইদের দেশ ও দেশের বাইরে অবদান রাখার প্রশংসাসূচক সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।
বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমি গর্বিত বোধ করি যখন দেখি বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী সম্মানসূচক কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে যুক্তরাজ্যে যাচ্ছে। আমার প্রত্যাশা, আপনারা দেশের বাইরে সর্বোচ্চ ইতিবাচকভাবেই দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন।’
বৃত্তিপ্রাপ্তদের অনেকেই ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে কমনওয়েলথ অ্যালামনাই মেন্টরশিপ প্ল্যানে (সিএএমপি) নিবন্ধন করিয়েছেন যার আওতায় তারা কমনওয়েথ অ্যালামনাই প্রশিক্ষকদের কাছ থেকে যুক্তরাজ্যে থাকাকালীন অ্যাকাডেমিক সহায়তা, যুক্তরাজ্যে জীবন ও পেশাদারিত্বের উন্নয়ন সহ নানা বিষয়ে পরামর্শ গ্রহণ করতে পারবেন।
বৃত্তিপ্রাপ্তদের ১০ জন প্রশিক্ষকের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় যাতে তারা যুক্তরাজ্যে প্রস্থানের পূর্বে প্রশিক্ষকদের সাথে সম্পৃক্ততা ও নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখতে পারে। প্রশিক্ষকরা বৃত্তিপ্রাপ্তদের সাথে তাদের নিজেদের বৃত্তিকালীন অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা করেন এবং বৃত্তিপ্রাপ্তরা কীভাবে কোনো প্রশ্ন নিয়ে প্রশিক্ষকদের সাথে আলোচনা করবেন সে বিষয়েও অধিবেশনে আলোচনা করেন।
অধিবেশনে দু’জন প্রশিক্ষক গবেষণাপত্র লেখা ও অ্যাকাডেমিক সাফল্য নিয়ে সংক্ষিপ্ত অধিবেশন নেন, যেখানে বৃত্তিপ্রাপ্তরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। সিএএমপি’র অংশ হিসেবে অনেক প্রশিক্ষণার্থী তাদের প্রশিক্ষককে নানা বিষয়ে প্রশ্ন করেন, এর মধ্যে ছিল যোগাযোগ নাম্বার বিনিময় এবং সামনের দিনগুলোতে বৃত্তিপ্রাপ্তদের প্রতিকূলতাগুলো নিয়ে আলোচনা।
এ অধিবেশন নিয়ে বৃত্তিপ্রাপ্ত একজন বলেন, ‘প্রশিক্ষকের সাথে সরাসরি আলোচনা আমাদের জন্য খুবই উপকারী হয়েছে, কেননা এটা ভবিষ্যতের যোগাযোগকে অনেকখানি সহজ করে তুলবে।’
অ্যাসোসিয়েশন অব কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটি’স (এসিইউ)- এর সহায়তায় বাংলাদেশে কমনওয়েলথ স্কলারশিপ ও ফেলোশিপ প্ল্যানের (সিএসএফপি) অধীনে কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে কাজ করেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল ও ইউজিসি। কমনওয়েলথ স্কলারশিপ কমিশন (সিএসসি) যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষে ফেলোশিপ কর্মসূচি আয়োজন করে আসছে।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর