বাংলাদেশে মোবাইল হেলথ সার্ভিস টনিকের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে সুলভ স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দেয়ায় ফরচুন ম্যাগাজিনের স্বীকৃতি পেয়েছে টেলিনর গ্রুপ। বিশ্ব বিখ্যাত ব্যবসায়িক ম্যাগাজিন ফরচুন, সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে ভালো ব্যবসা করছে এমন সব প্রতিষ্ঠান নিয়ে তৈরি চতুর্থ ‘চেঞ্জ দ্য ওর্য়াল্ড’ তালিকায় টেলিনরকে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
এ বছরের ‘চেঞ্জ দ্য ওর্য়াল্ড’ তালিকায় আছে ১৯টি দেশের প্রতিষ্ঠান। টেলিনর গ্রুপ তার ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা টনিকের কারণে এই তালিকায় এসেছে। টনিক, টেলিনরের বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের গ্রাহকদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা সুলভ ও সহজলভ্য করতে কাজ করছে।
এ তালিকা নিয়ে ফরচুন ম্যাগাজিনের এডিটর ইন চিফ ক্লিফটন লিফ লিখেছেন, শেয়ার ভ্যালু ইনিসিয়েটভ- এর সহযোগীদের নিয়ে ম্যাগাজিনটি কয়েক ডজন কোম্পানিকে চিহ্নিত করেছে যারা তাদের দৈনন্দিন কাজের অংশ হিসেবে জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ, আর্থিক এবং অন্যান্য সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এই তালিকা প্রতিষ্ঠানগুলোর দানশীলতার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয় নি বরং এটি আমাদের জানা একমাত্র টেকসই এবং সম্প্রসারণযোগ্য সমস্যা সমাধান যন্ত্র যা ব্যবসার মাধ্যমে সামাজিক সমস্যা সমাধানের চেষ্টা উপর নির্ভরশীল।’
এ বিষয়ে টেলিনরের প্রেসিডেন্ট ও সিইও সিগভে ব্রেক্কে বলেন, ‘টেলিনর যত বেশি সম্ভব মানুষের কাছে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধা পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা মনে করি, অধিকতর সমতা বিশিষ্ট পৃথিবী আমাদের ব্যবসা এবং আমাদের গ্রাহকদের জন্য ভাল। যত বেশি সংখ্যক মানুষকে অংশগ্রহণে সুবিধা, ডিজিটাল পরিচয় প্রদান, ব্যাংক একাউন্ট খোলা বা স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করার মাধ্যমে অসাম্য হ্রাসে প্রকৃত প্রভাব সৃষ্টি করা যেতে পারে। টেলিনর গ্রুপ কিভাবে তার বিশাল উপস্থিতি এবং সংযোগের ক্ষমতা কিভাবে সামাজিক উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করছে, ফরচুন কর্তৃক পৃথিবীর পরিবর্তনে ভূমিকা রাখা কোম্পানিগুলোর তালিকাভূক্তি তারই স্বীকৃতি।’
টেলিনরকে তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার জন্য নিচের কারণগুলো উল্লেখ করেছে ফরচুন:
টেলিনরের নিজের দেশ বিশ্বের সবচেয়ে ভালো স্বাস্থ্যসেবা সম্পন্ন দেশগুলোর একটি; প্রতিষ্ঠানটি এখন বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়নে কাজ করছে, এখানে যা সহজলভ্য নয়। টনিক অ্যাপের মাধ্যমে টেলিনরের বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের ৫০ লাখ গ্রাহক টনিক জীবন সেবার মাধ্যমে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের পরামর্শ পেতে নিবন্ধন করেছেন। টনিক ডাক্তারের মাধ্যমে প্রতি মিনিট ৬ সেন্টে ফোনের মাধ্যমে চিকিৎসা পরামর্শ পেতে পারেন। এছাড়াও, টনিক স্বাস্থ্যসেবায় ডিসকাউন্ট এবং হাসপাতালে ভর্তি হলে আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে।
এ নিয়ে গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি বলেন, ‘বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে প্রতিবছর ১০ কোটি মানুষ চিকিৎসা ব্যয়ের কারণে চরম দারিদ্রে পতিত হয় এবং ৪০ কোটির বেশি মানুষের জন্য মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য নয়। বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং পাকিস্তানের মতো দেশে যেখানে টেলিনর ব্যবসা করে সেখানে জীবনরক্ষাকারী প্রাথমিক সেবা এবং স্বাস্থ্যবিমা সাধারণের নাগালের বাইরে। এই সমস্যার সমাধানে টনিক কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।’
বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান